করোনা- যুদ্ধে তৎপর রাজ্য, টাস্ক ফোর্স, নতুন পরিকাঠামো, যন্ত্র সরবরাহ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে
কলকাতা-সহ রাজ্যে ঘাতক করোনা- মোকাবিলার প্রস্তুতি আরও জোরদার হচ্ছে৷ কার্যত ফৌজি-তৎপরতায় কাজ চলছে৷

◾ ‘কোভিড১৯’ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গড়া হয়েছে।

◾মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যে আক্রান্তদের বিদেশ-যোগ রয়েছে৷ তাই সাম্প্রতিক অতীতে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁরা বাধ্যতামূলক ভাবে ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকবেন। বিশেষত ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশ থেকে যাঁরা এসেছেন।

◾ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই পরিকাঠামো তৈরির কাজ
গতি পেয়েছে।

◾রাজারহাটের কোয়রান্টিন, বেলেঘাটার আইডি, আরজি কর এবং এমআর বাঙুর হাসপাতাল মিলিয়ে শুধু করোনা মোকাবিলায় ৮০০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

◾ ৩০০ ভেন্টিলেটর, ১০টি ইকমো বা ‘এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজিনেশন’ ছাড়াও পোর্টেবল এক্স-রে, ডায়ালিসিস এবং ইউএসজি-র সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে।

◾সাধারণ রোগীরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে জন্য করোনা-আক্রান্তদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

◾রাজারহাটে নতুন CCU ইউনিট গড়া হচ্ছে। অন্য সব হাসপাতালে পৃথক ICU-CCU তৈরির সিদ্ধান্ত৷

◾এনআরএসের পুরনো ফরেন্সিক বিভাগ থেকে অর্থোপেডিক সিবি ওয়ার্ডে সরে গেল আইসোলেশন ওয়ার্ড। এই হাসপাতালের প্রতিটি প্রবেশপথে বাড়তি লোকের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়সূচি বদল হয়েছে। খুব প্রয়োজন না-হলে এখন কেউ যাতে বহির্বিভাগে না-আসেন, সেই অনুরোধ করা হবে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে। বহির্বিভাগের রোগীদের এক সপ্তাহের বদলে দু’সপ্তাহ পরে আসতে বলবেন চিকিৎসকেরা। ফার্মাসিতে ক্রনিক রোগের রোগীদের এক বারে ওষুধ দেওয়া হবে দু’সপ্তাহের। যে-সব অস্ত্রোপচার পরে করলেও ক্ষতি নেই, তা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছোঁয়াচে রোগের মোকাবিলায় কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷

◾ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও জরুরি বিভাগ থেকে চক্ষু বিভাগের তেতলায় স্থানান্তরিত হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।

◾এমআর বাঙুরে সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের একতলায় নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড হচ্ছে৷ পৃথক সিঁড়ি, পৃথক লিফটও রাখা হয়েছে।

◾করোনা চিকিৎসার নোডাল হাসপাতাল, বেলেঘাটার আইডি-তেও পরিকাঠামো গড়া হচ্ছে৷ ১১০ জন সুইপার চেয়ে ১৬১ জন দেওয়া হয়েছে। ৫৭ জন জিডিএ। চারটি অ্যাম্বুল্যান্স।

◾বেসরকারি ক্ষেত্রেও করোনা-পরিষেবা প্রসারিত হচ্ছে। লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য ICMR- এর অনুমোদন পেয়েছে কলকাতার ৫টি বেসরকারি ল্যাবরেটরি। সেগুলি হলো:-
🔺 ইএম বাইপাসের অ্যাপোলো গ্লেনেগ্‌লস,

🔺এসআরএল (সল্টলেক),

🔺এসআরএল (আনন্দপুরের ফর্টিস),

🔺নিউ টাউনের সুরক্ষা

🔺 ইএম বাইপাসের ফর্টিস।

 

.

Previous articleতৃতীয় করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে রাজ্যে
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যে ‘আইসোলেশন- বেড’ বাড়ছে