ভয়ঙ্কর করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি-দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে মাস্ক খুলে চা-চক্র দিলীপের

ভয়ঙ্কর একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে গোটা দেশ তথা রাজ্য। করোনা মহামারি আবহে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভিভিআইপি নেতামন্ত্রীরা করোনার ভয়াল গ্রাসে। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, আমলা আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ ভাইরাসে। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। স্বয়ং দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

ঠিক সেই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত উদাসীনতার পরিচয় দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগণার বারাকপুর পলতা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এক চা-চক্রে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা। প্রচুর উৎসাহী মানুষ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। কারণ, দিলীপ ঘোষ এ রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাঁকে ঘিরে যে বিপুল জনসমাগম হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সেই ভিড়ের মধ্যে দিলীপ ঘোষ মুখে মাস্ক না দিয়ে তা গলায় ঝুলিয়ে খুব কাছ থেকে সকলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। গল্পগুজব করেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিও সারেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়েও তাঁর মুখে মাস্ক ছিল না। হতে পারে ওই সময়টুকু তিনি মাস্কের ব্যাপারে বেখেয়াল ছিলেন।

বিজেপির রাজ্যের শীর্ষ এদিন অনুগামীদের ভিড়ে হারিয়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ববিধিকে কিছুটা হলেও ভঙ্গ করেছেন। যার জন্য বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। করোনা আবহে দিলীপবাবুর এদিনের কর্মসূচি দেখার পর চমকে উঠেছে চিকিৎসক মহলও। যেখানে বারেবারে মাস্ক পরতে বলে ও দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কীভাবে বিনা মাস্কে এভাবে এতগুলি মানুষের সঙ্গে তিনি সময় কাটালেন, তা ভেবেই অবাক হচ্ছেন অনেকে।

 

বিভিন্ন মহল থেকে এমনও প্রশ্ন উঠছে, যেখানে অমিত শাহ নিজে টুইট করে সম্প্রতি তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে সচেতন করেছেন, সেখানে দিলীপ ঘোষ কীভাবে এমন কাজ করলেন?