প্যারোলের মেয়াদ বাড়ল রাজীব হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীর, শীঘ্রই হতে পারে মুক্তি

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এজি পেরারিবালনের। এরপর থেকে জেলেই দিন কাটছিল তার। সাম্প্রতিক সময়ে বাবার স্বাস্থ্য ও ভাইঝির বিয়ের কারণে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। এর ঠিক দুই সপ্তাহ পর ফের একবার প্যারোলের মেয়াদ বাড়ল তার। নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর যে আবেদন তিনি করেছিলেন সোমবার তা মঞ্জুর করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, পেরারিবালনের শাস্তি মুকুব করে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়েও চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে অসুস্থ বাবা এবং ভাইজির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন জানান পেরারিবালন। গত ৯ নভেম্বর সে আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। এরপর ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। সোমবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীব হত্যাকারী। নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি তার আবেদন ২০১৫ সালে শাস্তি মুকুবের যে আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন এবার অন্তত তা বিচার করা হোক।

পেরারিবালনের আবেদনের ভিত্তিতে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার প্যারোলের মেয়াদ বাড়িয়েছে এলএন রাওয়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলের বাইরে থাকাকালীন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। যতদিন তিনি বাইরে থাকবেন এই সময়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না তিনি।

আরও পড়ুন:আলুসেদ্ধ-ভাতও আর পাবেন না: আইন বদল করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ মমতার

প্রসঙ্গত ১৯৯১ সালে শ্রীপেরুম্বুদুরে এলটিটিই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। হত্যার ষড়যন্ত্রে যে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয় তার ব্যাটারির যোগান দিয়েছিল পেরারিবালন। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রথমে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয় আদালত। ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ৭ দোষীকে মুক্তির দাবিতে সুপারিশ করে তামিলনাড়ু সরকার। তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের উপর এই সিদ্ধান্তের ভার দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্যপাল। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তুললে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত কি অবস্থায় রয়েছে তা জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল রাজ্যপালের তরফে। তবে তার কোনও উত্তর আসেনি। ফলস্বরূপ আটকে রয়েছে রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির আবেদন।

Previous articleকোভিড সুনামির আশঙ্কায় নয়া নির্দেশ জারি মহারাষ্ট্রে
Next articleফাইজার, মোডার্নার পর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনও ৯০% কার্যকরী হতে পারে, দাবি বিশেষজ্ঞদের