মোদি সরকারের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফের আত্মঘাতী এক কৃষক

মোদি সরকারের তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফের আত্মঘাতী হলেন ৫২ বছর বয়সী এক কৃষক। রবিবার দিল্লির টিকরি সীমানায় ওই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে সূত্রের খবর। ওই কৃষকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির সীমানায় আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিকবার কেন্দ্র-কৃষি বৈঠকেও মেলেনি কোনও রফা সূত্র। ইতিমধ্যে ১১ বার কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কৃষকরা। বৈঠকে ১২-১৮ মাসের জন্য নয়া কৃষি আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, তা মানতে নারাজ দেশের কৃষকরা। এর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল এই আইনে সংশোধন আনার কথা। কিন্তু তাতেও রাজি নয় দেশের অন্নদাতারা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে আসা কয়েকশো কৃষকদের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। কৃষি আইনের প্রতিবাদে এর আগেও কয়েকজন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। কৃষি আইন বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা।

উল্লেখ্য, শনিবার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। সেই কর্মসূচিত্র মোদি সরকারের উদ্দেশে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘২ অক্টোবর পর্যন্ত সময়। তার মধ্যে আইন প্রত্যাহার না করা হলে কৃষকরা অন্য রাস্তা বেছে নেবেন। ঘোষণা করা হবে পরবর্তী কর্মসূচি।’ কিছুদিন আগে সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের উদ্দেশে টিকাইত বলেছিলেন, ‘আমাদের স্লোগান কানুন ওয়াপসি নহি তো ঘর ওয়াপসি নহি’।

এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় রাজধানী। ট্র্যাক্টর র‍্যালিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় দিল্লি। পুলিশ-কৃষক সংঘর্ষে আহত হন কয়েকশো পুলিশ। ট্রাক্টর উলটে মারা যান এক কৃষক। মধ্য দিল্লির ITO-তে পুলিশের বাস ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন-মোদির আমন্ত্রণে ‘না’ মমতার, শিশিরের ‘অজুহাত’ অসুস্থতা

Advt