সুদীপ্ত সেনের বিস্ফোরক চিঠি সারদার মূল মামলায় রাখল আদালত

বেআইনি আমানতকারী সংস্থা সারদা চিটফান্ডের (Sarada Chitfund) কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের (Sudipta Sen) নিজের হাতে লেখা ১৮ পাতার চিঠির সত্যতা তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে (CBI) আগেই অনুমতি দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshal Court)। যেহেতু সারদার মূল মামলা আরসি-৪ (RC-4)এখন আলিপুর আদালতে (Aalipur Court) বিচারাধীন, তাই এবার সারদা কর্ণধারের লেখা সেই চিঠি মূল মামলার (Case) রেকর্ডে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর (Ayon Chakraborty) আবেদনের ভিত্তিতেই সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি মূল মামলার নথি হিসেবে আজ, সোমবার যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কুণাল ঘোষের দাবি ছিল, যেহেতু সারদা মামলাকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র (Larger Conspiracy) বলা হয়েছে, তাই এই চিঠি মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই চিঠিতে যাদের নাম উল্লেখ করেছে সারদা কর্ণধার, তাদের প্রত্যেককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন আছে। সেই আর্জি আদালতে জানিয়ে ছিলেন কুণাল।

জেলবন্দি কেউ কোনও কর্তৃপক্ষের কাছে পিটিশন করতে গেলে তা সংশোধনাগারের সুপার ও এডিজি-র (কারা) মারফৎ করতে হয়। ১৮ পাতার ওই চিঠিতে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম উল্লেখ করা রয়েছে। পাশাপাশি, তারা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

প্রসঙ্গত, জেলে বসে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি আগেই সিবিআইয়ের আইনজীবীর হাতে চিঠিটি তুলে দিয়ে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা কোটি কোটি নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন।

গত ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে এসেছিল সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের লেখা এই চিঠি। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী ও অধীররঞ্জন চৌধুরী তাঁর কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়েছেন।

চিঠিতে সুদীপ্ত সেন লেখেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। ৯ কোটি টাকা নিয়েছেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ২ কোটি টাকা নিয়েছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত সেন’।

আরও পড়ুন:বাঙালি ও বাঙালিয়ানা নিয়ে মনোগ্রাহী একটি আয়োজন রোটারি সদনে

ভোটের মুখে নতুন করে কিছুটা গতি পেয়েছে সারদা তদন্ত। তারই মধ্যে সুদীপ্ত সেনের এই চিঠিকে গোয়েন্দারা কতটা গুরুত্ব দেন। তার ভিত্তিতে কারও গ্রেফতারি হয় কি না সেটাই দেখার।

Advt

Previous articleবাঙালি ও বাঙালিয়ানা নিয়ে মনোগ্রাহী একটি আয়োজন রোটারি সদনে
Next articleভালো বাঙালি না হলে ভালো ভারতীয় হওয়া সম্ভব নয় !