Sunday, December 21, 2025

‘বিজেপি বনাম বিজেপি’র কলহে ‘মিশন বাংলা’র দফারফা, বৈঠকে রাজ্য নেতাদের ধমক শাহ-নাড্ডার

Date:

Share post:

লক্ষ্য নীলবাড়ি। আর সেই লক্ষ্যে একের পর এক সভা করে যাচ্ছেন অমিত শাহ(Amit Shah)- জেপি নাড্ডারা(JP nadda)। বাংলা দখলের লড়াইয়ে ভিড় জমিয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে গালভরা প্রচার চালালেও লোক হচ্ছে না সভায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে সোমবার ঝাড়গ্রামের সভা ভার্চুয়ালি সেরেছেন অমিত শাহ। বাংলায় যুদ্ধ জয়ের আশা যে ক্রমশ হতাশাজনক হয়ে উঠছে তা অনুমান করেই সোমবার দিল্লি ফিরে না গিয়ে অসম সফর সেরে রাতেই কলকাতায় এসেছেন বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তার সঙ্গে হঠাৎ আগমন ঘটেছে জেপি নাড্ডার। রাতে নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির রুদ্ধদ্বার কোরকমিটির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। সেখানেই অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা কাছে রীতিমতো ধমক খেলেন রাজ্য বিজেপির(BJP) শীর্ষ নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের আগে পর্যন্ত তাও বা গুটিকয়েক লোকজনের ভিড় জমছিল সভা গুলিতে। পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে যায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর। দল বদলু নেতাদের কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় আদি বিজেপি। ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তৃতীয় ও চতুর্থ দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর। রাজ্যের প্রায় সমস্ত জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি হেস্টিংসের বিজেপির অফিসে পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শহরের হোটেলে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের আশঙ্কা এমনটা চলতে থাকলে রাজ্যে বিজেপির একেবারে নিশ্চিত ২০ থেকে ২৫ টি আসনও হারাতে হতে পারে গেরুয়া বাহিনীকে। ফলস্বরূপ সমস্যা কোথায় তা আজ রাতের মধ্যে খুঁজে বের করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বকে।

আরও পড়ুন:কোটি কোটি টাকা দিয়ে তারকা কিনেছে BJP! শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের ঝড়

সোমবার রাতে হঠাৎ ডাকা এই বৈঠকে সরাসরি রাজ্য নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোঁড়েন অমিত শাহ। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তিনি বলেন, বাংলায় যা চলছে তা ‘বিজেপি বনাম বিজেপি’। এমনটা চলতে থাকলে ক্ষমতা তো দূরের কথা, যে কটা নিশ্চিত আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেগুলিও হারাতে হবে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সর্বক্ষন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে রিপোর্ট তৈরি করে আজ রাতের মধ্যেই সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কড়া ধমক খাওয়ার পর বেশ চাপে রাজ্য নেতারা। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে সমস্যা ঠিক কোথায় তা খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্বরা। কিন্তু রিপোর্ট পেশ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আদেও কী এখন সম্ভব? এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দিলীপ-মুকুল-কৈলাসের কাছে। গেরুয়া নৌকায় যেভাবে ফাটল ধরেছে তাতে শেষ মুহূর্তে তা সারিয়ে তুলে নদী পার হওয়া বেশ কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advt

spot_img

Related articles

একলাফে নামল পারদ, আজ কলকাতায় মরশুমের শীতলতম দিন! 

উষ্ণতার গ্রাম সামান্য উর্ধ্বমুখী হতেই শীতের আমেজ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। শনিবারের ঘন কুয়াশার মাঝেই প্রায় ১৭...

রবিবাসরীয় ম্যারাথনে দুপুর পর্যন্ত একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ কলকাতা পুলিশের

ছুটির সকালে কলকাতার একাধিক রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। রবিবার ভোর থেকে দুপুরে একটা পর্যন্ত ম্যারাথনের কারণে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ...

উর্দি গায়ে প্রতিবাদী শাশ্বত, আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে প্রকাশ্যে ‘হোক কলরব’ মোশন পোস্টার 

দৃপ্ত চোখ, হাতে জ্বলন্ত বোতল। রাজ চক্রবর্তীর ছবিতে ফের পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। তবে কোনও...

‘এ জন্মেই পুনর্জন্ম’, উৎপল সিনহার কলম

ক্রুর ঝড় থেমে গ্যাছে , এখন আকাশ বড় নীল। গাছের সবুজ পাতা কেঁপে কেঁপে অত্যন্ত সুসম বিন্যাসে আবার...