বাড়িতে পৌঁছল জওয়ান জগন্নাথ রায়ের কফিনবন্দি দেহ

ধূপগুড়ির বাড়িতে পৌঁছল জওয়ান জগন্নাথ রায়ের কফিনবন্দি দেহ। ২৫ মার্চ শ্রীনগর-বারামুলা জাতীয় সড়কের উপর টহল দিচ্ছিলেন সিআরপিএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-এর জওয়ানরা। তখনই আচমকা সিআরপিএফ কনভয়ের উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে লস্করের ৩-৪ জন জঙ্গি। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের জওয়ান জগন্নাথ রায়। তিনি উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির বাসিন্দা। তারপর থেকেই তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন জগন্নাথ রায়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে পরাজয় স্বীকার করলেন জওয়ান জগন্নাথ রায়। বুধবার সকাল জগন্নাথ রায়ের কফিন বন্দি দেহ বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয়।

সোমবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় জগন্নাথ রায়ের। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা, স্ত্রী ও পুত্র সন্তান। মাত্র ৩৩ বছর বয়সী জগন্নাথ রায় বাবাকে হারিয়েছেন আগেই। ধূপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়ি এলাকায় জগন্নাথের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন-দ্বিতীয় দফায় ভোট ৩০ আসনে, ২০১৬ এবং ২০১৯-এর চিত্র

মার্চ মাসে একাধিকবার ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলেছে। গত ২২ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে গুলি বিনিময়ে চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। ওই দিন সোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে মৃত্যু হয় চার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির। সোপিয়ানের মানিহাল এলাকায় ওই দিন ভোর রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় শুরু হয় বলে কাশ্মীরজোন পুলিশ জানিয়েছিল। ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।

Advt

Previous articleআইপিএলে ধোনির নেতৃত্বে খেলতে মুখিয়ে পুজারা
Next article“ভোট শতাংশেই স্পষ্ট বাংলা ‘আসল পরিবর্তন’ চাইছে”, হুগলির সভায় দাবি নাড্ডার