তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) টুইটে বেজায় প্যাঁচে পড়েছেন এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টারেটের (Ed) ডিরেক্টর (Director) সঞ্জয়কুমার মিশ্র (Sanjay Kumar Mishra)। বৃহস্পতিবার, সাকেত নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Twitter Handel) বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি দেখান সরকারি কর্মচারী হয়েও তিন বছরের বেশি সময় ধরে সম্পত্তির খতিয়ান দাখিল করেননি ইডি-র ডিরেক্টর। অথচ এই ইডি-ই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে! এই তথ্য সামনে আসতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারেটের গ্রহণযোগ্যতা। শুক্রবার আরেকটি টুইট করলেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে। সেখানে তিনি লেখেন,
“ইডি-র খবর করেন এমন এক সাংবাদিকের কাছে ইডি-র ডিরেক্টর জানিয়েছেন, যে তিনি সম্পত্তির খতিয়ান দাখিল করেছিলেন কিন্তু ওয়েবসাইট সেটা আপডেট করেনি”
সাকেত প্রশ্ন তুলেছেন,
“এই খবরটা ঘনিষ্ঠ সাংবাদিককে কেন দিলেন ইডি-র ডিরেক্টর?
আর সম্পত্তির খতিয়ান সবার জ্ঞাতার্থে দিতে হয়। সেভাবে দেওয়া হল না কেন?
এটা কি একটা প্রহসন?”

So get this – ED Director tells a News18 journo (who covers ED) that he’s filed his asset returns but “website isn’t updated”.
1. Why is this coming off-the-record from a journo close to ED?
2. Asset declarations are meant to be PUBLIC. Why aren’t they? Is this a joke?@dir_ed https://t.co/DGOVBz6mLr
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) September 3, 2021
আরও পড়ুন-আফগানিস্তানের নতুন সরকারের রাষ্ট্রপতি মোল্লা বরাদর: তালিবান সূত্র

সাকেত আরও লেখেন, ২০১৭ পর্যন্ত ইডি-র ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান ওয়েবসাইটে (Website) রয়েছে। মোদি সরকার নিজেদের ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে বড়াই করে আর সঞ্জয়কুমার মিশ্র একটা দাবি করছেন, চার বছর ধরে ওয়েবসাইট আপডেট করা হচ্ছে না। “এটা বিশ্বাসযোগ্য?”

Oh also – the last records of ED Director filing his assets on the website are from 2017.
Are we really meant to believe that under #DigitalIndia, the “website hasn’t been updated” since FOUR YEARS as the Director ED claims? pic.twitter.com/TmqbIkqlpz
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) September 3, 2021
আরও পড়ুন-বাংলাই পথ দেখায়: মমতাকে নকল, ঘর সামলাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী খুললেন হেল্প লাইন!


গত নভেম্বরে সঞ্জয়কুমার মিশ্রর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কেন এমন এক আধিকারিকের মেয়াদকাল বাড়াল কেন্দ্র যাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ? অর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তের নামে যখন-তখন যাঁকে-তাঁকে তলব করে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টারেট। এখন দেখা যাচ্ছে, তার যিনি মাথা তিনি নিজেই সরকারি আইন ভেঙেছেন। শুধু তাই নয়, এখন দোষ চাপাচ্ছেন ওয়েবসাইটের ঘাড়ে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রচারে সরব। সেখানে এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডিরেক্টর বলছেন, সরকারি ওয়েবসাইট আপডেট হয় না গত তিন বছর! এখন এই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টার তদন্ত কাকে দিয়ে করানো যায়? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
