Saturday, August 23, 2025

নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজ্য সরকার

Date:

Share post:

মালদহ জেলার বিভিন্ন এলাকার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে গঙ্গা, ফুলহার নদীর ভাঙন পরিদর্শন করার পর এমনই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। যেসব এলাকা ভাঙছে আর তার জেরে জীবন বিপন্ন, সেইসব এলাকার পরিবারগুলির একটি তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। পরবর্তীতে রাজ্য প্রশাসনের কাছে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।

মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মালদহ জেলার কালিয়াচক ২, ৩ মানিকচক, হরিশ্চন্দ্রপুর ২, রতুয়া ১ ব্লকে গঙ্গা এবং ফুলহারা নদীর ভাঙনে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেক পরিবার। ইতিমধ্যে সেইসব ব্লকের বিডিওদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী ভাঙন দুর্গতদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্প্রতি এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতির মুখে যাঁরা পড়েছেন, সেইসব পরিবারগুলিকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করার ব্যবস্থা করেছে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক ৩ ব্লকের গঙ্গা নদীর ভাঙনে সবথেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহু পরিবার। যদিও সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সঠিক সময়ের মধ্যে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে না পারায় বহু পরিবারকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক ৩ ব্লকের বীরনগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গঙ্গার ভাঙন চলছে। পাশাপাশি মানিকচক ব্লকের ভুতনি এলাকাতেও একইভাবে ভাঙন হচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশকিছু ব্লক রয়েছে, যেখানে নদীভাঙনের জেরে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে অনেক পরিবারকে। এই অবস্থায় বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নতুন করে পুনর্বাসন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয়েছে। পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জমির প্রয়োজন। প্রশাসনের মাধ্যমে জমি খোঁজার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- “হিন্দুস্তান পাকিস্তান হবে না, কুৎসায় কান না দিয়ে ভরসা রাখুন”! হিন্দিভাষীদের বার্তা মমতার

advt 19

 

spot_img

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...