ত্রিপুরা: দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির হামলা, পুজোর পর আইন অমান্য আন্দোলনে তৃণমূল

উৎসবের মাঝেও ত্রিপুরাতে(Tripura) জারি রইল বিজেপির(BJP) বর্বরোচিত হামলা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ত্রিপুরার ধর্মনগরে তৃণমূলের(TMC) দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালালো বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরার রাজনীতি। বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে পুজোর পর আইন অমান্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক(Subal Bhumik)।

গত ৭ আগষ্ট তৃণমূলের এই কার্যালয়েই আক্রমণ চালিয়েছিল বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এবারে ভাঙচুরের পাশাপাশি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় পতাকাও ছেড়া হয়েছে।

ত্রিপুরায় দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক জানান, বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে। প্রতিদিন ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ক্রমশ বিজেপির জনভিত্তি কমছে। মানুষের থেকে ওরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর এধরনের আক্রমণ চালাচ্ছে। ওরা ভাবছে এভাবে হামলা-মামলা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখবে। বিজেপি যদি এটা ভেবে থাকে তাহলে ভুল করছে। পুজো শেষ হলে তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন করবে। আইন অমান্য আন্দোলনও হবে।

আরও পড়ুন:গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান উদ্বোধন করে কী বললেন মোদি ?

পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরার পুলিশ-প্রশাসন দলদাসে পরিনত হয়েছে। এত কিছু ঘটছে কিন্তু পুলিশ কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেখানে প্রকাশ্যে নিজে যেখানে আইন-আদালত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন সেরাজ্যের পুলিশ- প্রশাসন কি করতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। সংযোজন সুবল ভৌমিকের।

advt 19

 

Previous articleগোপালমাঠের রায় পরিবারে সপ্তমীতেই সিঁদুর খেলার বিধি
Next articleভারতীয় দলের টি ২০ বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ