Wednesday, November 12, 2025

Sukhendusekhar Roy: মোদি যুগের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে,প্রতিক্রিয়া সাংসদ সুখেন্দুশেখরের

Date:

Share post:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন। এরই প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, মোদি যুগের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে৷
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদে অধিবেশন শুরু হলেই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সরকার শুরু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কৃষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন- Attack in Bihar Court : আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতির দিকে বন্দুক তুললেন  দুই পুলিশকর্মী
তৃণমূল মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট মোদি যুগের শেষের শুরু৷ ফেব্রুয়ারি মাসে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন আছে, সেখানে নিজেদের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷’

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: এই জয় আপনাদের, কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কৃষক সমাজকে অভিনন্দন মমতার

তিনি বলেন, যখন ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংসদে এই তিনটি দানবীয় বিল নিয়ে আসা হয়, তখন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদের উভয় কক্ষে প্রস্তাব আনে যে বিলগুলি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক, যাতে বৃহত্তর কৃষক সমাজ বিলগুলি নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সমস্ত বিরোধী পক্ষ এই বিষয়ে তাদের প্রস্তাব পাস করার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও গায়ের জোরেই বিলগুলিকে পাস করার চেষ্টা করা হয়। তখন আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিশেষত রাজ্যসভায় আমাদের দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন যখন প্রতিবাদ করেন, তখন তাকে চ্যাংদোলা করে মার্শালরা হাউসের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের অন্যান্য সাংসদ দোলা সেন এবং অন্যান্যদেরকেও বের করে দেওয়া হয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা এর প্রতিবাদ করে তাদেরও আমল দেওয়া হয়নি।
কিন্তু এরপরই ৩৫ টি কৃষক সংগঠন এই বিলের প্রতিবাদে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করেন।শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা উপেক্ষা করে তাদের পরিবারদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা গিয়েছেন। তাদের নেতা রাকেশ টিকায়াত আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম এই বিলের প্রতিবাদে সরব হন।কলকাতাতে সুবিশাল মিছিল বের করা হয়।অন্যান্য জেলাতেও এর বিরুদ্ধে মিছিল আন্দোলন করা হয়।এর প্রতিক্রিয়া সারা দেশেই পরে।কিন্তু এই সরকার অনড় মনোভাব দেখায়।অতি সম্প্রতি লখিমপুর খেরিতে যে নারকীয় হত্যাকান্ড হয়েছে,নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়েছে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বহাল তবিয়তে পদে রয়েছেন।তার পুত্রের বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে প্রবল চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।যদিও তদন্তে গতি আনতে আদালতকে নির্দেশ দিতে হয়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের আরও দাবি, শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই হবে না৷ বরং কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷

spot_img

Related articles

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...