বুদ্ধ সম্মত ছিলেন বলেই ঘোষণা, PMOকে বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

বিশেষ সংবাদদাতা: নয়াদিল্লি ও কলকাতা- বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ( Buddhadeb bhattacharya) পদ্ম-সম্মান তালিকায় নাম ঘোষণার পরেও প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে দিল্লি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিভাগীয় তদন্ত করছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ( PMO) থেকেও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পি এম ও-কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ঘোষণার তিন ঘন্টা আগে বুদ্ধবাবুর বাড়িতে ফোন করে পদ্মভূষণ ( Padmabhushan) প্রাপ্তি জানানো হয়। সেখান থেকে আপত্তি না আসাতেই চূড়ান্ত তালিকায় ঘোষণা হয়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বিকেলেই না বলে দেওয়ায় তাঁর নাম রাখা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমান, নাম ঘোষণার পর কোনো কারণে বুদ্ধদেববাবুকে পিছিয়ে যেতে হয়। এনিয়ে সরকার অবশ্য কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এবিষয়ে রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। বিশেষত বুদ্ধবাবুর বিবৃতিতে ,” আমি জানতাম না। কেউ কিছু জানায় নি”- অংশটি নিয়ে বিস্মিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

আরও পড়ুন:মোদি জমানায় দুর্নীতির সূচকে বিশ্বজয়ের পথে ভারত

এনিয়ে জল্পনা আছে কলকাতাতেও। একটি সূত্র বলছে, বিকেল তিনটের কিছু পর দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বুদ্ধবাবুর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে ফোন এসেছিল। মীরা দেবী ফোন ধরেন। তাঁকে বিষয়টি বলা হয়। তারপরেই সন্ধেবেলা নাম ঘোষণা।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, পার্টি তালিকা ঘোষণার আগে কিছু জানত না। আবার বুদ্ধবাবুর বিবৃতিতে যা আছে, সেই অনুযায়ী বিকেলে দিল্লি থেকে কোনো ফোন আসেই নি। তিনি কিছু জানতেন না। অথচ গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়সহ অন্য ক্ষেত্রে উল্টোটি ঘটে বসে আছে।
এসব থেকেই দিল্লির শীর্ষমহলে জল্পনা, বুদ্ধবাবুর পরিবারের তরফ থেকে প্রাথমিক আপত্তি ছিল না। সেজন্যই তালিকায় নাম রেখেই ঘোষণা হয়। কিন্তু তারপর সিপিএমের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত এবং চারপাশের রাজনৈতিক অভিঘাত দেখে বুদ্ধবাবুর নামে প্রত্যাখ্যানের বিবৃতিটি সামনে আসে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিভাগীয় পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিষয়টি সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করছে। এনিয়ে রাজনৈতিকমহলে জোর চর্চা এবং ধোঁয়াশা অব্যাহত।