Friday, August 22, 2025

ধনকড়কে ‘ট্যুইটপাল’ বলে খোঁচা, ২০২৪-এ আর ফিরবে না বিজেপি, বললেন পার্থ

Date:

Share post:

জগদীপ ধনকড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar) ‘ট্যুইটপাল’ বলে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তিনি বলেন, ‘ট্যুইটপাল দেখার অভ্যাস নেই৷ আমরা রাজ্যপাল দেখেছি আগে।’ পার্থ আরও বলেন, ঘন ঘন যারা রাজভবনে যান, আজ যখন রাজ্যপালের ভাষনের উপর ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব নিয়ে আসা হয় তখন তারাই সেটা করলেন না।

 

বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির পরিষদীয় দল, ভুল পথে চালিত দল। কোনও দায়বদ্ধতা ওদের মানুষের ওপরে নেই। তাদের বিধায়করা অভব্য আচরণ রাজ্যপালের সামনে করেছেন। গরিমা, ঐতিহ্য সব নষ্ট করেছেন। বিধানসভার গরিমা, ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সুদীপ-মিহিরের অভব্য আচরণের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সবার সব সদস্যরা এই সাসপেনশনকে সমর্থন করেছেন। এর পরেও এরা এসে আচরণ বদলানেন না।”

জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি (BJP) বিরোধী একমাত্র মুখ মমতা বন্দোপাধ্যায় এদিন আবারও বলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব। বলেন,”২০০ বলা দল এখন ৭৭। এখন আবার ৩০-এ পৌঁছেছে। এর পরেও মনে মনে অনেকে চলে গেছেন। চিন্তন শিবিরে অনেক চিন্তা দেখলাম। যারা ২০০ পার বলতেন, তাদেরকে গঙ্গা পার করে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। পুরসভা নির্ববাচনেও রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসেরকে সমর্থন জানিয়েছেন। ভয় কারা পাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে।” এদিন পার্থ সাফ জানিয়ে দেন, “মানুষের মনের থেকে এই বিজেপি সরকার চলে গেছে। ২০২৪- এ আর ফিরবে না।”

আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ৫ রাজ্যে নির্বাচনের ফলপ্রকাশ, বাড়তি নজর উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে

এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) আরও একবার বামেদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। বলেছেন, “পুরনো হয়ে যাওয়া ইস্যুকে আবার তুলে আনা অভ্যাস৷ ওদের কাছে দল বড়। দেশ, রাজ্য বড় নয়। তাই পরীক্ষা সত্ত্বেও মিছিল করছে।”

বিধানসভায় সুদীপ-মিহিরের সাসপেনশন নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা কারো বাড়ি নয়, শান্তিকুঞ্জ নয়। যে যা মনে হল করে গেলাম। যদি অধ্যক্ষ অনুমতি দেন তাহলে লবিতে বসে ধরনা দেবেন। যদি অনুমতি না থাকে তার পরেও যদি করেন তাহলে বিধানসভায় আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।”

গোয়াতে তিন চার মাসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন বলেও জানান তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী।

পার্থ বলেন, “ভেবেছিলাম ওদের বোধদয় হবে, কিন্তু আজকেও দেখলাম ওদের বোধদয় হয়নি।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেও হই হই করলেন। যারা প্রতিদিন বলেন তাদের বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। যদিও অধ্যক্ষ তাদের টাইম দিলেন। বক্তার তালিকা দিয়েও তারা কথা বললেন না। রাজ্যপালের অনেক বিষয় সেদিন আমাদের দৃষ্টিকটু লেগেছিল। যারা ঘন ঘন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তারাই রাজ্যপালের ভাষণে অংশ না নিয়ে কি সম্মান দেখালেন?”

 

spot_img

Related articles

ইমান বেচলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী: শিখ সম্প্রদায়ের অপমানে নীরব রবনিতকে প্রশ্ন তৃণমূলের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনিত সিং বিট্টু  শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মানকে বাংলার বিজেপি নেতাদের সামনে বিক্রি করে দিলেন। নরেন্দ্র মোদির...

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...