চাকরি থেকে কোনও কারণ ছাড়াই এক যুবককে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবার সরাসরি আন্দোলনে নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ও যুব তৃণমূল কংগ্রেস। বিনা নোটিশে (Notice) কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় বাবার ছবি নিয়ে পোস্টার লিখে ব্যাঙ্কের সামনে ধরনায় বসলেন এক যুবক। আর তাঁর পাশে দাঁড়াল নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস ও যুব তৃণমূল কংগ্রেস।

কোন্নগর (Konnagar) নবগ্রাম পিপলস কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেডের সামনে এই ঘটনায় ভিড় জমে যায়।অভিযোগ, বাবা সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে ২০২০ সালে চাকরি পেয়েছিলেন শুভম। দিন চারেক আগে হঠাৎ করেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায় তাঁকে ডেকে বলেন, “তাঁকে আর কাজ করতে হবে না।” শুভম তাঁর মাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও তাঁকে আর কাজে বহাল করা হয়নি। এরপর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্যাঙ্কের সামনে ধরনায় বসেন ওই যুবক। তাঁকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসে এলাকারই আরও কিছু লোকজন ও নবগ্রাম তৃণমূল ও যুব তৃণমূল।

শুভমের দাবি, খুব অল্প বেতনে তিনি কাজ করেন। তাঁর মায়ের চিকিৎসা থেকে সংসার চালানো সবই সেই বেতনের টাকাতেই চলে। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন করে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনা প্রসঙ্গে নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘ওই যুবকের বাবা ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পরে ছেলে চাকরি পান। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’ অপূর্বের অভিযোগ, ‘‘এই ব্যাঙ্কে যে সব কর্মচারী আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা তৃণমূল করেন বা সমর্থক তাঁদের বিনা কারণে শোকজ করা হচ্ছে, নয়তো বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। ব্যাঙ্কে আমরা কোনও অন্যায় হতে দেব না। যাঁকে বসিয়েছে, তাঁকে কাজে বহাল করতে হবে।’’ নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা শতদ্রু কর বলেন, যেখানে রাজ্য সরকার বলছে কোথাও কোনো কর্মচারীদের কাজ যাবে না, সেখানে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তুঘলকি শাসন জারি করে এক যুবককে কাজ থেকে বসিয়ে দিচ্ছে! এই যুবকের পাশে যুব তৃণমূল সব সময় আছে।

ধরনার খবর পেয়ে যায় আসেন কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে উত্তরপাড়া থানার আইসি গিয়ে বোঝান আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে। দু’দিন সময় দেন শুভম ও তাঁর সঙ্গীরা। চাকরিতে পুনর্বহাল না করলে আবার আন্দোলন হবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় ছিলাম। আমি শুনেছি এ রকম কিছু হয়েছে। পুরো ঘটনা জেনে তবেই বলতে পারব কী হয়েছে।’’

আরও পড়ুন- অবসর নিলেন দু’দিনের স্থায়ী বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়া