Thursday, August 28, 2025

যারা পাড়ায় ময়লা ফেলে তারা গণশত্রু! চিহ্নিত করুন, কড়া বার্তা মেয়রের

Date:

Share post:

এ বছর কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় অতিরিক্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ। শুধু আক্রান্ত হওয়াই নয়, মশাবাহিত এই রোগের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। আর এই ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবার আগে মানুষকে সচেতন হতে বলে বলে আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবার ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজপথে নেমে ফের কড়া বার্তা মেয়রের। মডেল ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পথে পথে ঘুরে সচেতনতা বার্তা দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত, বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার সহ আরও অনেকে।

এদিন ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি বিরোধী দলকেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ফিরহাদ হাকিম। এক নজরে দেখুন কী কী বললেন ফিরহাদ হাকিম।

যারা পাড়ায় ময়লা ফেলে তারা গণশত্রু! চিহ্নিত করুন, খবর দিন।

ডাব বিক্রেতাদের জন্য একটা গাইড লাইন ইস্যু করা হবে। যাতে গোটা খোলার বদলে খোলা হাফ করে কেটে ফেলা হয়।

সুকান্ত মজুমদার যদি কথা দেয় ডেঙ্গি রুখে দেবে, তাহলে আমি এক্ষুণি পদত্যাগ করব।

হু নিষেধ করেছে বলেই মশা মারার ধোঁয়া দেওয়া বন্ধ করেছি।

মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহেরের গাড়ির ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গাড়ির ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা শোকার্ত পরিবারের পাশে আছি। আবু তাহের বলে না, যে কোনও বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা হবে।

মিনাখায় পরিবারের কেউ বোমা বাঁধছিল। বোমার বারুদ কোথা থেকে আসছে। কোথায় উৎপাদন হয়? গান শেল কারখানার বারুদ বাইরে আসছে কিভাবে? আর জেনে রাখুন, এগুলো NIA এসে ধরেনি। রাজ্যের পুলিশই ধরেছে।

আজ রাজ্যে নীতিন গড়কড়ি। ওনাকে স্বাগত। কিন্তু উনি ভুলে গেছেন, ওনার থেকেও বড় নেতা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরেকটা মোটা মতো লোক (অমিত শাহ) এসে অনেক লাফালাফি করেছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

তোলাবাজি যে কোনও মূল্যে রুখছি। রুখব। পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে।

দিলীপবাবুর উচিৎ নিজেদের ঠিক করা। আমাদের দু’একটা নেতা অন্যায় করেছে। কিন্তু আমাদের দল হল ত্যাগের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও সততার প্রতীক।

সাইথিয়ায় কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। গ্রামীন বিবাদ। দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল। এখন তো সবাই তৃণমূল। তাই কিছু লোক গোষ্ঠী কোন্দল বলে চেঁচায়।

১০০ শতাংশ কাজ হয়েছে এমন দাবি আমরা করিনি। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি জেলায় জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। বাকি থাকা কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করেন।

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...