পনেরো বছর আগের একটি মামলায় উপ নির্বাচনের আগেই কেন সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। জামিন বন্ডে সই করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী ।চলতি মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাইদুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। তারপর গ্রেফতার করা হয় সাইদুর রহমানকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধেই অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।

যদিও সাইদুর রহমানের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতা। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন আইনজীবী । অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

ধর্ষণ ও প্রতারণা-মামলায় গতকালই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন নির্যাতিতা।এবিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে যায় কংগ্রেসের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। পুরো ঘটনাটিকেই রাজনৈতিক ও পুলিশের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
