ঘুম বড় প্রিয় অনেকের কাছেই। তবে, সবার চোখে সে ধরা দেয় না। এবার ঘুমনোর অভিনব উপায় মিলেছে কলকাতারই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল SSKM-এ। আর সেই পরিষেবা চালু হতেই তার এমন চাহিদা, যে অক্টোবর পর্যন্ত বেড বুক। ২টাকার বিনিময় শান্তির ঘুম, কে ছাড়বে!

ঘুম প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু মানসিক চাপ, উত্তেজনা, Sugar, রক্তচাপ এবং সময়ের অভাবে আধুনিক মানুষের জীবন থেকে ক্রমশই ঘুম উড়ে যাচ্ছে। বেশি সমস্যায় শহর ও শহরতলির বাসিন্দারা। এই সমস্যার সমাধান এখন এসএসকেএম হাসপাতালের ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি বিভাগে। সেখানে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ২টি যন্ত্র আনা হয়েছে। নাম ‘পলিসমনোগ্রাফি।’ এটিই হল ঘুমের যন্ত্র।

তবে, এই পরিষেবা শুরু হতেই ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি-তে দু’টি বেড অক্টোবর পর্যন্ত বুক। ২টাকার টিকিট কেটে এই বেডে (Bed) ঘুমানো যাবে তিনদিনের জন্যন। তারপরই অনিদ্রা থাকে মুক্তি। এই পরিষেবা পাওয়া এক রোগীর কথায়, মনে হয়েছে ৩মাসের ঘুম ৩ দিনে ঘুমিয়েছেন তিনি। শরীর-মন ঝরঝরে। আরএমও জানিয়ছেন, এবার থাকে নিয়ম মেনে চললে আর সমস্যা হবে না।

ইন্সটিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধিকর্তা ডা: অমিত ভট্টাচার্য (Amit Bhattacharjee) জানিয়ছেন, অনিদ্রায় ভোগা মানুষের সংখ্যা্ ক্রমশ বাড়ছে। সারাদিন শারীরিক ও মানসিক চাপের পর ঘুম না হলে পরদিন ভাল করে কাজ করা যায় না। ঘুমের ঘাটতি মেটাতে যেখানে হোক ঘুমিয়ে পড়ছেন অনেকে। ফলে অনেক সময়ে ঘটেছে দুর্ঘটনাও। এই বিশেষ যন্ত্রে কেন ঘুম আসে না এটা যেমন বিশ্লেষণ করা হয়, তেমনই বিছানায় শোওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শরীরে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘুম আনতে অনুঘটকের কাজ করে এই যন্ত্র।
অমিত জানান, রোগীর শরীরে স্বাভাবিক অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকা দরকার। ঘুমের সময় অক্সিজেনের ঘাটতি হলে নাক ডাকার সমস্যা হয়। উচ্চ রক্তচাপ, হাই সুগার, হাই প্রেসারের রোগীদের এক টানা ঘুম হয়ে না। তীব্র মানসিক চাপ, উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা থাকলে ঘুমের ঘাটতি ঘটে। অনিদ্রায় ভোগা রোগীর বুক ও মস্তিষ্কের সঙ্গে যন্ত্র জুড়ে দিলে ম্যা গনেটিক ওয়েভের মাধ্যতমে বিশ্লেষণ করা হয় ঘুমের সময় সব অঙ্গ স্বাভাবিক কাজ করছে কি না? যেখানে অসুবিধা হবে, সেই জায়গাএর সমন্ধে রেকর্ড রাখা হয়। পরে নাক ডাকার সমস্যাা হলে ইএনটি এবং পালমোনলজিস্টের পরার্মশ নিতে বলা হয়েছে। তবে ঘুমের ওষুধ যতটা সম্ভব বাদ দেওয়া উচিত। তিনদিনের মধ্যে অনিদ্রা সমস্যা মেটায়, ক্রমশ চাপ বাড়ছে হাসপাতালের উপর। ফলে আরও বেড আনানোর জন্যর স্বাস্থ্যক ভবনে ফাইল পাঠানো হয়েছে।
