শুধু খুন নয়। নৃশংস আক্রমণ। পুরুলিয়ার জয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তকে জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। ১৬ দিনের মধ্যে জয়পুর হত্যাকাণ্ডের কিনারা করে দিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ (Purulia Police)। জুড়ন মাহাতকে খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রী ও প্রেমিককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রেমিক ক্ষেত্রপাল মাহতর বয়ানে জানা গিয়েছে, ২৫টা ঘুমের ওষুধ ডিম-ভাতের সঙ্গে খাইয়ে বেহুঁশ করা হয় জুড়নকে। তারপর ভারি ভোঁতা বস্তু দিয়ে মেরে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়েছিলেন স্ত্রী উত্তরা মাহাত। গোয়া (Goa) থেকে প্রেমিকাকে নির্দেশ দেয় ক্ষেত্রপাল। ফোনে নকশা শুনে স্বামীকে হত্যা করেন উত্তরা। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে জুড়নের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় উত্তরার প্রেমিক ক্ষেত্রপালকে। যে ছুরি ও ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ কাটা হয়েছিল, সেই ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ (Police) সূত্রে খবর।

পুরুলিয়ার রাঙ্গুনিটার গ্রামের বাসিন্দা জুড়ন। জুড়ন নিখোঁজ হয়ে যান বলে ২০ মার্চ রটিয়ে দেন তাঁর স্ত্রী উত্তরা। ২২ মার্চ ছেলে অপূর্বকে নিয়ে জয়পুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। তিনদিন পরে অপূর্ব পুলিশকে জানান, তাঁদের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। জয়পুর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই জুড়নের স্ত্রীকে ২৬ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন উত্তরা। জুড়ন তাঁদের পরকীয়া জেনে ফেলার কারণেই খুন বলে জানান তিনি। প্রেমিক ক্ষেত্রপালের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই খুন করেন উত্তরা।
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরকীয়াতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী। তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড। যে অস্ত্রে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটা হয়েছিল সেগুলি উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্টের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে কিছু কারিগরি প্রমাণ আমরা সংগ্রহ করছি।”
