Wednesday, November 12, 2025

সমরেশের প্রয়াণে স্মৃতির সরণীতে সঞ্জীব-শঙ্কর-শীর্ষেন্দু

Date:

Share post:

সোমবার সন্ধ্যায় প্রিয় সাহিত্যিককে হারিয়েছে বাঙালি। বাংলা সাহিত্যে ফের নক্ষত্র পতন। বিপুল সাহিত্য সম্ভার রেখে চলে গিয়েছেন কালবেলার স্রষ্টা সমরেশ মজুমদার। শোকস্তব্ধ সাহিত্যজগত।

সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল প্রয়াত সাহিত্যিকের। তিনি বলেছেন, সমরেশের সঙ্গে আমার লেখক জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। একমাত্র ও আমাকে ‘সঞ্জু’ বলে ডাকত।ভাবতেই পারছি না, ওর মতো স্বাস্থ্যবান একজন যুবক কী করে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল। সত্যসন্ধানী ‘অর্জুন’-এর স্রষ্টার প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না অশীতিপর সাহিত্যিক শংকর।তিনি বললেন, লেখক হিসেবে ও জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে চিনতাম। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আমাদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখাও হতো। একটাই কথা বলতে চাই, ওর মতো ছেলে আমি খুব কমই দেখেছি। ওর চলে যাওয়াটা আমার কাছে ব্যক্তিগত শোক।সমরেশ মজুদারের প্রয়াণে বাকরুদ্ধ প্রবীণ সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, সমরেশ চলে যাওয়ার মানে এখন বাংলা সাহিত্যে আর কে রইল? লেখক হয়ে ওঠার আগে থেকেই আমি সমরেশকে চিনতাম। উত্তর কলকাতার বোর্ডিং হাউজ়ে থাকার সময় লেখকের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সমরেশ মজুদার। তিনি বলেন, এক সঙ্গে আমরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি। ইদানীং ও আমাকে বলত যে, ‘বাবলু’ বলে ওকে ডাকার আর কেউ নেই।
বাংলা সাহিত্যে সমরেশ মজুমদারের উত্তরাধিকার বিরাজ করবে কালপুরুষের মতো তার একবাক্যে স্বীকার করেছেন সবাই।

 

spot_img

Related articles

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...