Sunday, August 24, 2025

পুলিশের নির্দেশে ঘরবন্দি,না খেয়ে দিন কাটছে সচিন-সীমার পরিবারের!

Date:

Share post:

অদ্ভূত ফতোয়া, আর তার জেরে জেরবার তাদের প্রাত্যহিক জীবন।কারণ,  পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্দেশ ঘর ছেড়ে বেরোনো যাবে না।ফলে সমস্যায় পড়েছেন সচিন-সীমার পরিবার।একদিকে বাড়ির বাইরে সব সময় সংবাদমাধ্যমের ভিড় লেগেই রয়েছে।যার জেরে  নিজেদের বাড়িও ছেড়েছেন সচিনরা। গ্রেটার নয়ডার রবুপুরাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন তারা। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।

পরিস্থিতি এমনই যে পুরো পরিবারই বুঝে উঠতে পারছেন না, এখন তাদের কী করা উচিৎ।সচিনের বাবা নেত্রপাল বলেছেন, “আমরা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কিন্তু যে দিন থেকে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে ঘর ছেড়ে বেরনো যাবে না, সে দিন থেকেই গোটা পরিবার ঘরবন্দি হয়েই কাটাচ্ছি। বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছি না। বাইরে না বেরোতে পারলে কাজ জোগাড় করতে পারছি না। পরিস্থিতি খুব খারাপ। ঘরে খাবারও নেই।”

নেত্রপাল আর্জি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে  ততই ভাল। দ্রুত কোনও সমাধান বার করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সচিনের বাবার বক্তব্য, এমনিতেই ঘরবন্দি। বাড়িতে যে টুকু খাবার ছিল, তা-ও শেষ। এ বার না খেয়ে মরতে হবে।”

আসলে সীমাকে নিয়ে তদন্তে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়েন্দারা। সীমা পাকিস্তানি নাগরিক কি না, তা প্রমাণ করতে তাঁর এবং সন্তানদের পাসপোর্ট, ভিসা, পাকিস্তানি পরিচয়পত্র-সহ প্রয়োজনীয় নথি পাকিস্তান দূতাবাসে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও গাজ়িয়াবাদে ফরেন্সিক ল্যাবে সীমার মোবাইল পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান দূতাবাস এবং গাজিয়াবাদের ফরেন্সিক ল্যাব থেকে সব রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।জানা গিয়েছে, যত দিন না রিপোর্ট আসছে, তত দিন তদন্ত চলবে। তার পর চার্জশিট তৈরি করা হবে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সীমাকে ভারতে থাকার অনুমতি পাবেন, নাকি তাকে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...