রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই ফের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে (Vice Chancellor) সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নিয়ম মেনে সুহৃতা পালকে (Surhita Paul) উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠার পরেই তাঁকে সরানো নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আনন্দ বোস। কিন্তু আচার্যের নিয়োগ করা সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের স্বীকৃতি দেবে না রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর- জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজভবন থেকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সরব হন শিক্ষামন্ত্রী। তবে, রাজ্যপালের নিযুক্ত বেশ কয়েকজন উপাচার্য ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (MAKAUT) অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম মজুমদার (Goutam Majumder)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্তও (Amitabha Dutta) পদত্যাগ করেছেন। এঁদের নিয়োগ করছিলেন রাজ্যপাল (Governor)।

আনন্দ বোসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ঝাড়গ্রামের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমাদের গভর্নর মহাশয় এখন কালো চশমা পরেন। তিনি পরতেই পারেন, একটার জায়গায় ১০টা। জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আমরা নাম পাঠালেও (উপাচার্য) নিয়োগ করেন না। নিজের ইচ্ছে মতো কেরল থেকে লোক নিয়ে এসে বসিয়ে দিচ্ছে। কেরলের অনেক বন্ধুই আমাদের এখানে থাকছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভিসি (উপাচার্য) হতে গেলে কমপক্ষে ১০ বছরের অধ্যাপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন, তিনি আবার কেরলে আইপিএস ছিলেন। যাঁর সঙ্গে এডুকেশনের কোনও যোগাযোগ নেই।’’

তবে এখন প্রশ্ন, সুহৃতা পাল কী করবেন? তিনি কি পদ ছাড়বেন? নাকি আইনি পথে হাঁটবেন? সূত্রের খবর, রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন তিনি।
