Monday, August 25, 2025

বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে: “জয় বাংলা” স্লোগান দিয়ে বললেন রাজ্যপাল

Date:

Share post:

বাংলাই দেশকে পথ দেখাবে। গোখলের কথা মতো, What’s Bengal thinks today, I will think tomorrow- সেই সোনার দিন ফিরে আসছে। নবম সাংবাদিকতা সম্মান মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anana Bose)। বৃহস্পতিবার, সন্ধেয় শহরের এক পাঁচতারা হোটেলের আলোকিত ব্যাংকয়েটে চোখ ধাঁধানো award function। রাজ্যপালের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকতা তথা বিভিন্ন ক্ষেত্রের দিকপালরা। এক কথায় তারকাখচিত সন্ধে। একদিকে যেমন উপস্থিত ছিলেন মানস ঘোষ, অভিজিৎ দাশগুপ্ত, বুড়োশিব দাশগুপ্ত, কুণাল ঘোষ, জয়ন্ত ঘোষাল, জয়ন্ত রায়চৌধুরী মতো বিশিষ্ট সাংবাদিকরা, তেমনই ছিলেন বিক্রম ঘোষ, জয়া শীল, বিশ্বনাথ, ঊষসী চক্রবর্তী অলকানন্দ রায়, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজা চন্দ, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু দে, শুভাপ্রসন্ন, ঋজু দত্ত-সহ বিশিষ্টরাও। সায়ন্তন দাশ অধিকারী ও স্বাতী চক্রবর্তীর উদ্যোগে গত ন বছর ধরে সাংবাদিকদের সম্মান জানিয়ে চলেছে ক্যানডিড কমিউনিকেশন।

সাংবাদিকতা ও সত্যনিষ্ঠা সম্পর্কে বলেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, বাংলায় সাংবাদিকতা যথেষ্ট নিরপেক্ষ। যে কোনোভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে সাংবাদিকদের। আনন্দ বোসের কথায়, বাংলা আগামী দিনেও দেশকে পথ দেখাবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে। মঞ্চ থেকে “জয় বাংলা” স্লোগান দেন রাজ্যপাল।

এদিনের অনুষ্ঠানে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সাংবাদিকতা আজকের দিনে কতটা চাপের মুখে- এই সংক্রান্ত আলোচনায় পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতে উঠে আসে। তার মধ্যে বেশ কিছু মত ছিল রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে। প্রধানত দিল্লির বক্তাদের নিশানায় ছিল শাসকদল। এরপরে বলতে উঠে বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, বাংলায় যে গণতান্ত্রিকভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, তা এই আলোচনা থেকেই বোঝা যায়। অন্য কোনও রাজ্য হলে মাঝপথেই এই আলোচনা বন্ধ করে দিতে হত। কুণালকে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানান উপস্থিত সকলের।

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি চ্যান্সেলর সমিত রায়-সহ পাঁচজনকে শিক্ষা জগতের বিশেষ অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়। লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যপাল।

সাংবাদিকতার ১৫টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং পোর্টাল- তিনটি মাধ্যম থেকেই সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করা হয়। জেলা সাংবাদিকতা (প্রিন্ট/পোর্টাল) বিভাগে মনোনীত হয় ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’। সমগ্র অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে সাজিয়েছিলেন ক্যানডিড কমিউনিকেশনের দুই কর্ণধার সায়ন্তন দাশ অধিকারী ও স্বাতী চক্রবর্তী। সঞ্চালনার পাশাপাশি ঈষৎ টিপ্পনি কেটে অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত জমিয়ে রাখেন মীর।

আরও পড়ুন:প্ল্যাটফর্মেই এল না বন্দে ভারত এক্সপ্রেস!হাওড়া স্টেশনে বিক্ষো.ভ ,বিকল্প ট্রেনেই মালদহে রওনা রাজ্যপালের

 

 

spot_img

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...