গাজিয়াবাদের পার্কে তরুণীকে যৌ.ন হেন.স্তার অ.ভিযোগ তিন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে  

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি পার্কে তরুণীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে।  অভিযুক্ত ৩ পুলিশকর্মী। হবু স্বামীর সামনেই এই অপকর্ম চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১০ হাজারা টাকা দাবিও করে পুলিশকর্মীরা। কোনক্রমে অভিযুক্তদের থেকে নিস্তার পান যুগল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ১৬ সেপ্টেম্বর। গাজিয়াবাদের সাই উপবন সিটি পার্কে দুপুরে গল্প করছিলেন যুগল। অভিযোগ, সেখানে কিছুক্ষণ পর হাজির হন কীর্তিমান তিন পুলিশ কর্মী, তাঁদের মধ্যে দুজন ইউনিফর্মে ছিলেন। একজনের ছিল সাধারণ পোশাক। তরুণীর অভিযোগ, এক পুলিশকর্মী তার হবু স্বামীকে মারধর করেন। তাঁর গোপনাঙ্গে স্পর্শ করা হয়। এমনকী এক পুলিশকর্মী ওই ঘটনার পরে বারবার তাঁকে ফোন করে বিরক্ত করেন। এমনকী গভীর রাতে বাড়িতেও হাজির হন।

এর পর বাধ্য হয়ে পুলিশের আপাতকালীন নম্বরে ফোন করেন তরুণী। সেই ফোন পৌঁছায় গাজিয়াবাদ থানায়। জানা গিয়েছে, তিন অভিযুক্তেরা হলেন কনস্টেবল রাকেশ কুমার, হোম গার্ড দিগম্বর এবং আরও একজন। তরুণীর অভিযোগ, পার্কে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে ও পুরুষ সঙ্গীকে হেনস্তা করে পুলিশকর্মীরা। দশ হাজার টাকার দাবি জানান তাঁরা। ইচ্ছে না থাকলেও নিষ্কৃতি পেতে এক হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন তিনি।

তরুণী জানান, “রাকেশ কুমার আমার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। জোর করে গোপনাঙ্গে হাত দেন। আমরা ওদের হাতেপায়ে ধরলেও ছাড়েনি। তৃতীয় ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।” তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গাজিয়াবেদের অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানান, অভিযুক্ত রাকেশ কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দিগম্বরের দফতরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। আপাতত তিনজনই পলাতক।