Sunday, August 24, 2025

শরদ পাওয়ারই সরকারে যোগ দিতে বলেছিলেন: বিস্ফোরক দাবি ভাইপো অজিতের

Date:

Share post:

এনসিপি ভেঙে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি ও শিবসেনা(বিক্ষুব্ধ) সরকারে যোগ দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ‘বিভীষণ’ তকমা পেয়েছেন অজিত পাওয়ার। তবে এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত তাঁর নয় বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন অজিত। এনসিপির এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে কাকা শরদ পাওয়ার প্রসঙ্গে অজিত জানালেন, শাসকদলে যোগ দেওয়ার সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ারই। অজিতের এহেন দাবিতে মহারাষ্ট্র তো বটেই জাতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২ মে, এনসিপির সভাপতির পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। এরপর অজিত দলের সভাপতি হন। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন শরদ। এরপর এনসিপি ভেঙে অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারে যোগ দেন। এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে এই পদক্ষেপের পিছনে কাকা অজিত পাওয়ারে হাত রয়েছে বলে এনসিপি সম্মেলনে দাবি করলেন অজিত। এনসিপি সম্মেলনে অজিত বলেন, “সেদিন আমরা ১০-১২ জন বিধায়ক মিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এরপর সুপ্রিয়াকে ডাকি। আমাদের মনে হয়েছিল সরাসরি শরদ পাওয়ারকে বিষয়টি বললে তিনি কী ভাববেন। সুপ্রিয়া ৮-১০ দিন সময় চান, এবং বলেন তিনি শরদকে বুঝিয়ে বলবেন। তবে বেশকিছুদিন কেটে যাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই সরাসরি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলার। ওনাকে বিষয়টি জানানোর পর উনি বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য কিছু সময় চান।” এরপর অজিত পাওয়ারের বক্তব্য অনুযায়ী, “এরপর ১ মে দলের এক অনুষ্ঠানে শরদ পাওয়ার আমাকে ডেকে বলেন সরকারে যোগ দিতে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি(শরদ পাওয়ার) দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।”

একইসঙ্গে অজিত বলেন, “শরদ পাওয়ার যে ইস্তফা দেবেন একথা কেউ জানত না। বিষয়টি শুধুমাত্র ৪ জন জানত। এরপর উনি ইস্তফা দিয়ে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেন, এবং নতুন সভাপতি বেছে নিতে বলেন। ২ মে উনি যখন ইস্তফা দেন, তখন তা গোটা এনসিপি নেতৃত্বের কাছেই আকস্মিক ছিল।” তবে শরদ পাওয়ারের পদত্যাগকে আর একটি নাটক বলে দাবি করে অজিত জানান, এক অনুষ্ঠানে নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করে শারদ পাওয়ার বাড়ি চলে যান। পদত্যাগের পর দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা আনন্দ পরাঞ্জপে ও জিতেন্দ্র আওহাদকে ডাকেন শরদ পাওয়ার। এবং নিজের এই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য দলের কর্মী সমর্থকদের যশবন্তরাও সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। আমি জানি না কেন? পদত্যাগ করতে না চাইলে উনি পদত্যাগ করতেন না। এই নাটক করার অর্থ কী?”

তবে অজিত পাওয়ারের এই দাবি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই মারাঠা রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও অজিত সত্যি বলছেন? নাকি দলীয় সুপ্রিমোর সম্মানহানি করতে মিথ্যা গল্প ফাঁদছেন তা নিয়ে যথেষ্ট মতান্তর রয়েছে।

spot_img

Related articles

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...

ঠাকুরবাড়ির স্বার্থের রাজনীতি ফাঁস: শান্তনুকে কাঠগড়ায় তুললেন মা-দাদা

বিজেপির মধ্যে ঝগড়া ও স্বার্থের লড়াই শুরু হয়েছে বনগাঁর ঠাকুরনগরে। মতুয়া (Matua) সমাজের প্রভূত উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা...

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কার: চরম দ্বন্দ্ব শান্তনু-সুব্রতর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এবার গোটা ঠাকুর পরিবার। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘটা করে যে নাগরিকত্ব দেওয়ার খেলায়...