Sunday, August 24, 2025

লক্ষাধিক টাকার বর্ষাতি কেনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা

Date:

Share post:

মেয়র নারাজ ছিলেন, কিন্তু তারপরও কেনা হয়েছে লক্ষাধিক টাকার বর্ষাতি।বিষয়টি নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।জানা গিয়েছে,স্কুলপড়ুয়াদের জন্য প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার বর্ষাতি কেনা হলেও, কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।ঘটনার সূত্রপাত ৬ বছর আগে। এই ঘটনায় তখন যাঁরা পুরসভা শিক্ষা বিভাগের অফিসার ছিলেন তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা পুরসভায় টেন্ডার ছাড়া বর্ষাতি কেনার জন্য যাঁরা ফাইলে সই করেছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও ফাইল সামনে আসতেই দেখা গিয়েছে তখন মেয়র পারিষদ (‌শিক্ষা)‌ পদে ছিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এখন তিনি রাস্তার মেয়র পারিষদ। ওই ফাইলে তাঁরই সই আছে।প্রশ্ন উঠেছে, মেয়র ফাইলের ওপর ‘নো’ লিখে দিয়েছিলেন। তারপরেও লক্ষাধিক টাকার বর্ষাতি কেনা হল? এই দায় তৎকালীন মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) এড়াতে পারেন না।এরই পাশাপাশি, একটি অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেটা দেখতে পেয়েছেন খোদ মেয়র বলে জানা গিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। টেন্ডার ছাড়াই একটি বিশেষ সংস্থাকে এই বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালে কলকাতা পুরসভার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য বর্ষাতি কেনার ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতর যে দরপত্রের প্রক্রিয়া করে, তাতে বিস্তর অসঙ্গতি ছিল। তাই পুরসভার অর্থ দফতর তাতে অনুমোদন দেয়নি। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে ওই ফাইল পাঠানো হলেও, মেয়র ফাইলের উপরে ‘নো’ লিখে দেন। তার পরেও পুরসভার শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ৭৩ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকার মূল্যের ২২০৪০টি বর্ষাতি কেনা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এত টাকার বর্ষাতি আদৌ পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...