প্রাপ্য আদায় করতে গিয়ে প্রাণ গেল নিরীহ কৃষকের। বুধবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা খানৌরি সীমানায় ২১ বছর বয়সি কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি বর্বরতা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠলো। নিরস্ত্র চাষীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে হরিয়ানার পুলিশ। সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘জমিদার’ বলে কটাক্ষ করে সমাজমাধ্যমের পাতায় তোপ দাগলেন তিনি। পাশাপাশি কৃষকদের উপর যে বর্বরতা চলছে তার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (National Human Rights Commission) চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ।

খানৌরি সীমানায় আন্দোলনকারী তরুণ কৃষকের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার রাতেই এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন ‘জমিদারেরা সব সময়েই গরিবদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেন। কিন্তু আগে কখনও এমন নির্বাচিত সরকারকে আন্দোলনকারী কৃষকদের হত্যা করতে দেখিনি।’ এর পাশাপাশি ১০ বছর ধরে কৃষকদের সঙ্গে যে মিথ্যাচার ও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে সে কথা উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, খানৌরি সীমান্তের ঘটনাগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের থেকে কম নয়। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে গণতন্ত্র বিপন্ন।

ZAMINDARS in all ages have always oppressed the poor and subjugated them to brute force. But never before has an ELECTED GOVERNMENT KILLED INNOCENT FARMERS PROTESTING FOR THEIR RIGHTS.
After lying & mistreating our farmers for 10 years, the BJP government is now KILLING THEM…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 21, 2024
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale) গোটা বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে। যেখানে বাংলায় সন্দেশখালিতে দফায় দফায় কেন্দ্র থেকে বিশেষ টিম পৌঁছে যাচ্ছে, সেখানে এত বড় একটা ঘটনার পরও কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন মানবাধিকার রক্ষার কর্তারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কৃষকদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভা অভিযোগ জানায়, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও হরিয়ানা পুলিশ বিষয়টি মানতে চায়নি। মৃত কৃষকের নাম, শুভ করন সিং। আহত অবস্থায় তাঁকে পাটিয়ালার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন কৃষকের গায়ে বুলেটের দাগ রয়েছে। সাকেতের দাবি, ওই তরুণ কৃষকের মৃত্যু কী করে হল, তা নিয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি হরিয়ানার পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, গোটা ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে পুলিশ। তাই অভিযুক্ত আধিকারিকের শাস্তির পাশাপাশি এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
