প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল এফসি। এদিন ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গানে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারালো ২-১ গোলে। লাল-হলুদের হয়ে গোল দুটি করেন সাউল ক্রেসপো এবং অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা। বিএফসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সুনীল ছেত্রী। এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল।

এদিন লাল-হলুদের ছিলো বদলার ম্যাচ। লেগের প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হারের মুখ দেখে ছিলো ইস্টবেঙ্গল। এদিন যেন তারই বদলা নিল কুয়াদ্রাতের দল। ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে এরই মধ্যে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ১৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। বেঙ্গালুরুর বক্সের ভিতরে নাওরেম মহেশকে ফাউল করেন ফানাই। রেফারি পেনাল্টি দেন। যেই সুযোগকে কাজে লাগাতে এতটুকু ভুল করেননি ক্রেসপো। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ১-০ গোলে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন ক্রেসপো।এরপর পালটা আক্রমণ চালায় সুনীল ছেত্রীর দল। কিন্তু শৌভিক চক্রবর্তীর সৌজন্যে সে যাত্রা বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে কুয়াদ্রাতের দল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। ম্যাচের ৬০ মিনিটে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু এফসি । বিএফসির হয়ে সমতা ফেরান সুনীল । সুনীলের ক্রস লাগে হরমনজ্যোত সিং খাবরার হাতে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টি দেন। সেখান থেকে সমতা ফেরান সুনীল। এরপর পালটা আক্রমণ চালায় লাল-হলুদ। যার ফলে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় কুয়াদ্রাতের দল। ৭৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেটন। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন নিশু কুমার। তিনি বক্সে থাকা ক্লেটনের উদ্দেশে নিখুঁত পাস বাড়ান। হেডে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ক্লেটন। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন- আইপিএল-এ প্রথম জয় মুম্বইয়ের, দিল্লিকে হারালো ২৯ রানে
