নির্বাচনী প্রচার থেকে মনিপুর! বিজেপির মিথ্যাচার নিয়ে বিস্ফোরক মোহন ভাগবত

"এক বছর ধরে মনিপুর শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে। হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং সেটাই প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া প্রয়োজন।"

লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন থেকে মন্ত্রিসভা গঠন – বিজেপির সঙ্গে আরএসএসের দ্বন্দ্বের বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে চলে এল। নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মিথ্যাচার থেকে মনিপুরকে শান্ত করতে বন্দুকের ব্যবহার, সব বিষয়ে একাধিক ভুল তুলে ধরে মোদি-শাহকে আক্রমণ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের দাবি একজন সত্যিকারের সেবকের ‘অহংকার’ থাকে না এবং অন্যদের কোন ক্ষতি না করে কাজ করে। কার্যত বিজেপির স্বৈরতান্ত্রিক আচরণকে তুলোধনা করেন তিনি।

সঙ্ঘের কাজের পদ্ধতি থেকে বিজেপি যে একেবারেই বিচ্যুত, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন ভাগবত। তাঁর দাবি, “প্রতি নির্বাচনে জনগনের মতামত পরিশোধন করার কাজ করে সঙ্ঘ। এবারেও তেমনটা করেছিল কিন্তু ফলাফলের ব্যাখ্যা নিয়ে কোনওভাবেই জড়িয়ে পড়েনি। আমাদের পরম্পরা হল ঐক্যমতকে বাড়ানো। এটা একটা প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ নয়।” কার্যত নির্বাচন ঘিরে মানুষের বহুমতের কথা না ভেবে বিজেপি যে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল তারই সমালোচনা করেছেন সঙ্ঘের প্রধান। সেই সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে তিনি বলেন, “প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে মিথ্যাচার করা হয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।”

সেই সঙ্গে মনিপুর ইস্যুতে বিরোধীরা যেভাবে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন, সেভাবেই সমালোচনার সুর চড়ান ভাগবত। তিনি দাবি করেন, “এক বছর ধরে মনিপুর শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে। হিংসা বন্ধ করতে হবে এবং সেটাই প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া প্রয়োজন।” সেই সঙ্গে তিনি মনিপুরে শান্তি ফেরানোর পথ হিসাবে বলেন, “সব দল নির্বিশেষে একটি কমিটি তৈরি করতে হবে। মনিপুরকে আস্থা দেওয়া প্রয়োজন। সবকিছু বন্দুকের গুলিতে সমাধান সম্ভব নয়।”

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আচরণ নিয়ে যে সঙ্ঘ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তা প্রকাশ করতে কোনও ফাঁক রাখেননি সঙ্ঘ প্রধান। তিনি স্পষ্ট করে দেন বিজেপি যেভাবে তিনি বলেন, “ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করার পদ্ধতি হল নির্বাচন। সংসদের দুটি পক্ষ থাকে যাতে কোনও বিষয়ের দুটি দিকই আলোচনায় আনা সম্ভব হয়। প্রত্যেকটি বিষয়েরই দুটি দিক থাকে। একটি রাজনৈতিক দল একটি দিক উত্থাপন করলে অন্য দল বিরুদ্ধ মত উত্থাপন করবে, এর মধ্যে দিয়েই আমাদের শেষ সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব।”