গো-মাংসের চোরাচালানের ছাড়পত্র মোদির মন্ত্রী শান্তনুর! বিএসএফের রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

শান্তনু ঠাকুর

সীমান্তে চোরাচালানকে মদত দিতে গিয়ে একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রে মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)! তাঁর বিরুদ্ধে গো-মাংস চোরাচালানের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি!

ঘটনার সূত্রপাত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) লেটারহেডে সই করা একটি ‘ছাড়পত্র’ কে কেন্দ্র করে। শান্তনু ঠাকুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবাধে চোরাচালান চালাতে মদত দিচ্ছেন। আর সেটাই এখন জাতীয় স্তরে বিতর্কের কেন্দ্রে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অবৈধ কারবারে কীভাবে ব্যবহার হতে পারে এই ছাড়পত্র? এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। বেকায়দায় বিজেপি।

গো-সংরক্ষণের পক্ষে সওয়ালকারী বিজেপির টিকিটে জিতেই দ্বিতীয়বার মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনিই নিজের লেটার হেডে জনৈক জিয়ারুল গাজিকে বিনা বাধায় গো-মাংস কারবার চালানোর সুপারিশ করেছিলেন। অবাধে জিয়ারুলকে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কর্তাকে লিখিত আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই ধরনের পারমিটে কীভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ব্যবসায় ছাড় দেওয়া হয়?

রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ জিয়ারুলকে সীমান্তে গো-মাংসের চোরাচালানের পারমিট ইস্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এদিকে চাপে পড়ে শান্তনুর ছাড়পত্র নিয়ে বিএসএফের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় সাংসদ অভিনেতা দেবকে ক্লিনচিট CBI-র, মামলা খারিজ আদালতের 

 

Previous articleবর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের পিএইচডি ভর্তি স্থগিত! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next articleফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, জঙ্গি হামলায় শহিদ ৫ জওয়ান