‘হকার উচ্ছেদ ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে তফাৎ আছে’, বিরোধীদের অপপ্রচার ভেস্তে দিয়ে জবাব ফিরহাদের

হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেস্তে গেল বিরোধীদের ইচ্ছাকৃত উস্কানি। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) তোপের মুখে ফুঁস হয়ে গেল বিরোধী কাউন্সিলরদের সেই প্ররোচনা। এদিন পুরভবনে মাসিক অধিবেশন চলাকালীন প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে শহরে হকার উচ্ছেদের অপপ্রচার চালিয়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন হাতে-গোনা বিরোধী কাউন্সিলররা। তা নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য সরগরম হয়ে ওঠে অধিবেশন। কিন্তু মহানাগরিকের স্পষ্ট বক্তব্যে উড়ে যায় বিরোধী কাউন্সিলরদের গাজোয়ারি।

মেয়রের সাফ কথা, কলকাতায় কোথাও কোনও হকার উচ্ছেদ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী কখনই হকার উচ্ছেদের কথা বলেননি। ভিনরাজ্য থেকে এসে বহু মানুষ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করেছে। এতে সরকার এবং পুরসভার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সেখানে সার্ভে করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু একটা জায়গাতেও হকারকে তুলে দেওয়া হয়নি। হকার উচ্ছেদ এবং হকার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে তফাৎ আছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মতোই শহরে হকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশও (Kolkata Police)। চলছে হকার সার্ভে। গোটা হকার ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত করতে হকারদের বোঝানো হচ্ছে। অনলাইন মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করিয়ে ছবি তুলে জিপিএস ট্র্যাকিংইয়ের মাধ্যমে পুরসভার অ্যাপে প্রত্যেক হকারের প্রোফাইল তৈরি হচ্ছে। এরপর সেইসব ফুটপাথ হকাররা সমস্ত নিয়মবিধি মেনে হকারি করছেন কি না, তা নজরে রাখতে সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন পুলিশ ও পুর-আধিকারিকরা। কিন্তু এত কিছুর পরও বিরোধীরা হকার উচ্ছেদ নিয়েও ধর্মীয় ভেদাভেদের মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। সেই কুৎসা নিয়ে এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিরোধী কাউন্সিলরদের বিঁধে বলেন, আপনাদের নিজেদেরই অস্তিত্ব ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে। বাংলায় কোনও ধর্মের ভেদাভেদ নেই। এখানে আমরা হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে থাকি। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।

আরও পড়ুন- সম্মানহানি করবেন না: স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে গান্ধীগিরি রাহুলের!