৩০ স্কুল পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে গুলি! কিমের দেশের ‘আজব’ শাসন

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও আমেরিকার বিনোদনের কোনও ধরনের সম্প্রচার নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। এই ধরনের বিনোদন কিমের দেশে সম্প্রচারিতই হয় না

ভারতের শহুরে স্কুল পড়ুয়ারা বিটিএস বা ব্ল্যাক পিঙ্কের নাম শুনলেই যেভাবে মজে যায়, উত্তর কোরিয়ার কোনও স্কুল পড়ুয়া সেভাবে এই ব্যান্ডগুলিকে নিয়ে আবেগ প্রকাশই করতে পারে না। আবেগ প্রকাশ তো দূরের কথা, নাম মুখে আনলেও মিলতে পারে কঠিন শাস্তি। সেই শাস্তি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি করে মারা পর্যন্ত হতে পারে। এমনটাই সম্প্রতি প্রকাশ করেছে কিম জং আনের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলি।

সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দেশের অন্তত ৩০ জন স্কুল পড়ুয়াকে গুলি করে মারা হয়েছে নিষিদ্ধ দেশের বিনোদন দেখার জন্য। বহু পড়ুয়াকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছে আগে। সেই সব নিষেধাজ্ঞা না মানার জন্য শেষে চরম শাস্তির পথে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরতান্ত্রিক শাসক। তবে শুধুমাত্র স্কুল পড়ুয়া নয়, প্রাপ্ত বয়স্কদেরও প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিনোদনের ভিডিও বিক্রি করার জন্য, দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের।

দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও আমেরিকার বিনোদনের কোনও ধরনের সম্প্রচার নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। এই ধরনের বিনোদন কিমের দেশে সম্প্রচারিতই হয় না। চোরা পথে পৌঁছায় সেই দেশে। ভারত তথা অন্যান্য সব দেশের স্কুল পড়ুয়াদের মতো স্বাভাবিকভাবেই এই সব দেশের চটকদারি বিনোদন মন টানে উত্তর কোরিয়ায় স্কুল পড়ুয়াদেরও। সেই দেশের ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এই ধরনের ভিডিও দেখার জন্য বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়াকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছিল কিম প্রশাসন। সেই ভিডিও দেশে সম্প্রচার করা হয়েছিল অন্যদের মনে ভয় ধরাতে।

দমবন্ধ করা শাসন থেকে পালাতে কখনও আত্মহত্যা, কখনও দুর্গম পথে পালাতেও দেখা গিয়েছে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের। সেই সব নজরে রেখে এবার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘নিষিদ্ধ’ ভিডিও থেকে দূরে রাখতে একেবারে মেরে ফেলার পথে কিম। এই সব উদাহরণ তুলে ধরে বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন থেকে দূরে রাখতে চাইছেন স্বৈরাচারী কিম।

Previous articleআড়িয়াদহ কাণ্ডের জের, সংবাদ মাধ্যমের সামনে নেতাদের মন্তব্যে রাশ তৃণমূলের
Next articleঅনন্য নজির: জেলবন্দি অবস্থায় PhD-র সুযোগ, রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ মাওবাদী নেতার