Thursday, August 21, 2025

সংবিধান বিরোধী ‘এক দেশ এক ভোট’: সরাসরি বিরোধিতায় তৃণমূল

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হল ‘এক দেশ এক ভোট’ (One nation one election) নীতি। সংশোধনীতে সম্মতি জানালো মন্ত্রিসভা (cabinet)। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফের সরাসরি বিরোধিতা করা হল এই আইনের। ভারতের সংবিধান মেনে কীভাবে এই নীতি কার্যকর করা সম্ভব, তোলা হল প্রশ্ন। সেই সঙ্গে মুষ্টিমেয়র পরামর্শ নিয়ে তৈরি নীতি কার্যকর করতেও আপত্তি জানানো হয়েছিল আগেই তৃণমূলের তরফে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর (federal structure) ধারক বাহক রাজ্যগুলির পরামর্শ ছাড়াই এই আইন কার্যকরের পথে কেন্দ্র, অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পরই গোটা দেশে বিরোধীরা সরব হয়েছেন এই প্রস্তাবের বিরোধিতায়।

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার আগেই ‘এক দেশ এক ভোট’ (One nation one election) কার্যকর করার তোড়জোড় শুরু করে কলকাঠি নাড়া শুরু করেছিল। সেই সময়ই বিরোধীরা একযোগে এই নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন। জানুয়ারি মাসে এই আইন প্রণয়নের প্রস্তুতির হাই লেভেল কমিটিকে পরামর্শ গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানেই জানানো হয়েছিল এই নীতি সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। ভারতের সংবিধান যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সমর্থন করে। সেই অনুযায়ী দেশে কেন্দ্র ও রাজ্যের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া এক হয়ে গেলে সংবিধানের অবমাননা হবে বলে দাবি তোলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে।

সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয় ইস্যুভিত্তিক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও। স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে দেশের নির্বাচনের ইস্যুর বিস্তর ফারাক। সেক্ষেত্রে কীভাবে একসঙ্গে নির্বাচন হবে, প্রশ্ন তোলে তৃণমূল (TMC)। যে হাই লেভেল কমিটি (High level commettee) সমীক্ষা করেছে, তাকেও পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরাসরি অভিযোগ তোলে রাজ্যের শাসকদল। যাঁরা ‘এক দেশ এক ভোট’ সমর্থন করেন তাঁদের মতামত যেমন নেওয়া হয়েছে, তেমনই যাঁরা এর বিপক্ষে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি, স্পষ্ট অভিযোগ করে তৃণমূল।

বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাশের পরেই তৃণমূল সরাসরি এই নীতির বিরোধিতা করে। তৃণমূলের পাশাপাশি দেশের সব বড় রাজনৈতিক দল এই নীতির বিরোধিতা করে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) দাবি করেন, “এক দেশ এক ভোট নির্বাচনে জেতার বিজেপীয় পন্থা। এটি সংবিধান বিরোধী, গণতন্ত্রের বিরোধী এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরোধী।” এই নীতির বিরোধিতা করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় আপ (AAP), সমাজবাদী পার্টি (SP), শিবসেনা (উদ্ধব শিবির)।

spot_img

Related articles

বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার স্মরণে ফুটবল প্রতিযোগিতার ঘোষণা ক্রীড়ামন্ত্রীর

১৮৯৩ সাল, শিকাগোর ধর্মসভায় সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই স্বামী বিবেকানন্দের(Swami Vivekananda) বক্তৃতায় বিদ্যুতের গতির মতো ছড়িয়ে...

অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলা: জামিন পরেশ পালসহ ২ কাউন্সিলরের

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও উপযুক্ত প্রমাণই নেই। বিজেপির তরফ থেকে বারবার তৃণমূল বিধায়ককে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলেও আদতে...

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষায় বায়ো-লক সিস্টেমের রিপোর্ট তলব রাজ্যের

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মেনে বায়োমেট্রিক লক (Biometric Lock)...

বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি আক্রমণের প্রতিবাদ! নিশীথের কনভয় ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দিনহাটায়

বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণ। বাংলার প্রতি মোদি সরকারের বঞ্চনা। প্রতিবাদে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith...