উস্তিতে বিজেপি নেতা খুনে (BJP Leader murder in Ustii) চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। পুলিশি জেরায় ধৃত মহিলার স্বীকারোক্তি, পার্টি অফিসে তুলে এনে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল ওই বিজেপি নেতা। অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই যৌনাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দেয় সে। পুলিশ জানিয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু ওই বিজেপি নেতার।

ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার এএসপি (জোনাল) মিতুনকুমার দে জানান, এই খুনের ঘটনায় কোনও রাজনীতির যোগ নেই। সুজাতা পোদ্দার (Sujata Poddar) নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল পৃথ্বীরাজের। ওই মহিলা জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় ছিল পৃথ্বীরাজ। তাঁকেও মদ খাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। যৌন সংসর্গ করতেও তাঁকে জোরাজুরি করা হয়। তখনই ওই মহিলা টেবিলে পড়ে থাকা ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। প্রচন্ড রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার পৃথ্বীরাজ নস্করের।তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, একাধিক মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল পৃথ্বীরাজের। তার জেরে টানাপোড়েন চলছিল। ধৃত সুজাতা পোদ্দার পুলিজি জেরায় জানান, বিজেপি পার্টি অফিসের মধ্যেই মদের আসর বসিয়ে তাঁর সঙ্গে যথেচ্ছ যৌনাচারের চেষ্টা চালায় পৃথ্বীরাজ। অন্য মহিলাদের ডেকে এনেও শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হত ওই বিজেপি নেতা। অনেক মহিলার সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক আছে এটা জানার পর আমি আর সম্পর্ক রাখতে রাজি হইনি। কিন্তু সেদিন প্রচুর মদ খেয়ে আমাকে জোর করতে শুরু করলে পুরুষাঙ্গে ব্লেড চালিয়ে দিই। শনিবারই এই তথ্য সামনে আসে, তারপর মহিলা পুলিশি জেরায় তা স্বীকার করে নেন। এদিন মহিলাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিজেপি নেতা খুনের পর শনিবার মিডিয়াতে বড় বড় ভাষণ দিয়ে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা সামনে আসতেই সবার মুখেই কুলুপ। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরোটাই ওই বিজেপি নেতা, উস্তির ওই পার্টি অফিস এবং তাদের কুকীর্তির পরিণতি। ধর্ষণের চেষ্টা রুখতে আঘাত করেছিলেন ওই মহিলা। এইসব কাণ্ড চলত দলীয় কার্যালয়ে। এই হল বিজেপি ও তাদের পার্টি অফিস।
