বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সরাসরি প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী রাজ্য বাংলায়, এই আশঙ্কাতেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অশান্ত বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে সেই আশঙ্কাযই সত্যি হল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রাণ ও নারীর সম্মান বাঁচাতে বাংলায় আশ্রয় নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (BSF) হাতে। রায়গঞ্জ সীমান্তে গ্রেফতার করা হয় এক কলেজ পড়ুয়াকে। অন্যদিকে চোপড়া থানার ফতেপুর সীমান্তে উদ্ধার করা হয় এক নাবালিকাকে।

মঙ্গলবার রায়গঞ্জ এলাকা দিয়ে করতোয়া নদীর (Karatoya river) সাঁতরে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে এক কিশোর। বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও গভমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ওই কিশোরকে নদী থেকেই উদ্ধার করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (BSF)। তারপর তাকে তুলে দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে। বুধবার তাকে আদালতে পেশের সময় সে জানায়, নিজের দেশে থাকতে না পেরে প্রাণ নিয়ে কোনমতে সে ভারতে পালিয়ে আসছিল। তবে এরকম উদাহরণ নতুন নয় ভারতের আরও একাধিক সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। জেলে থাকাও বাংলাদেশে থাকার থেকে ভালো বিবেচনা করে পালিয়ে এসেছেন অনেক বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নাগরিক।

আরো একটি হৃদয় বিদারী অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে চোপড়ার ফতেপুরে। ইসকন ভক্ত এক পরিবারকে লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায়। বাড়ির নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রাণ ও সম্মান বাঁচাতে ভারতের বেলাকোবায় (Belacoba) আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করে নাবালিকা। ফতেপুর সীমান্তে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ (BSF)। পরে তুলে দেওয়া হয় চোপড়া থানার হাতে। সেখান থেকে তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়। বুধবার রায়গঞ্জ জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে তাকে তোলা হয়। যোগাযোগ করা হয় বেলাকোবায় তার আত্মীয়দের সঙ্গেও।
