অভিযুক্তকে ধরতে এসে আক্রান্ত ভিন্ন রাজ্যের পুলিশকে উদ্ধার করল লালবাজার (Lalbazar)। এর পরে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সঙ্গে যৌথ অভিযানে অভিযুক্তক ধরেছে তামিলনাড়ু (Tamilnadu) পুলিশ। সেই রাজ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে কলকাতায় পালিয়ে আসে আব্বাস বৈদ্যl নামে পরিযায়ী শ্রমিক। অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ধরতে আসেন তামিলনাড়ু পুলিশের আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁদের ঘিরে ধরে হামলা চালায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১০০ ডায়াল করে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।

তামিলনাড়ু পুলিশের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) জানতে পেরেছেন, তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল আব্বাস। সেখানে কাজ করা অন্য এক পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে সম্পর্ক হয় স্থানীয় এক নাবালিকার। সেই দুজনকে ঘনিষ্ট অবস্থায় দেখে ফেলে আব্বাস। মোবাইলে ভিডিও তুলে রাখে। তার পরেই ওই নাবালিকার ব্ল্যাকমেইল করে লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকে সে। এর পরে ওই নাবালিকা অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। জানা যায়, সে চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা। হাসপাতালের তরফ থেকেই তামিলনাড়ুর চাইল্ড লাইনে অভিযোগ জানানো হয়। তিরুপ্পুরের পুলিশ কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানতে পারে। পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়। আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেয় নির্যাতিতা।

তদন্তে নেমে তামিলনাড়ু পুলিশ জানতে পারে আব্বাস ও কিশোরীর প্রেমিকা দুজনেই পলাতক। আব্বাসের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায়, সে কলকাতায় আছে। এখানে এসে জানা যায়, শিয়ালদহে এক ফল ব্যেবসায়ীদের কাছে কাজ করছে আব্বাস। এখানে তার স্ত্রী-পরিবার রয়েছে। শিয়ালদহে তাকে ধরে ফেলে তামিলনাড়ু পুলিশ। তার পরই শুরু হয় গোলমাল। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০০ ডায়ালে একটি ফোন পায় লালবাজার। নিজেকে তামিলনাড়ু পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে এক ব্যাক্তি কন্ট্রোল রুমে জানান, তামিলনাড়ুতে একটি পকসো মামলার অভিযুক্তকে ধরতে এসে শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে তাঁরা আক্রান্ত। অভিযুক্তকে তাঁরা ধরে ফেলেছেন। কিন্তু তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। লালবাজারের পক্ষ থেকে এন্টালি থানাকে বিষয়টি জানানো হয়।
আরও খবর: জ্বলছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরে ঝড়বৃষ্টির স্বস্তি

কিছুক্ষণের মধ্যেই এন্টালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে গিয়ে উত্তেজিত জনতার মধ্যে থেকে ভিনরাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। ধৃত আব্বাস বৈদ্যাকেও এন্টালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার, অভিযুক্তকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে চারদিনের জন্য তার ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় মুগ্ধ তামিলনাড়ু পুলিশে। তবে, আগে থেকেই কেন কলকাতা পুলিশকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–

–