টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পাবলিক স্কুলের (Techno India Group Public School) কোনও রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ছিল না। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অধীনে, বিভিন্ন ধরনের স্কুল রয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে আবাসিক স্কুল ছিল না। এবার সেই সমস্যার সমাধান হল। সোমবার, শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে এই শিল্প সম্মেলনে মেয়েদের জন্য টেকনো ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড রেসিডেন্সিয়াল স্কুল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধন্যবাদ জানালেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরীদের (Satyam Chowdhury)। তিনি বলেন, “এসবে ওদের ইন্টারেস্ট অনেক, তাই ওরাই পারে। আমি ওদের একটা ফ্যাশন স্কুল করার প্রস্তাব দিয়েছি। আজকাল এটার খুব চল। পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা খুব স্মার্ট। এই পেশায় সাফল্যের মাত্রা অনেকটা বেশি। আমার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে তাই বললাম।“ সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেখানেই যান, নজর দেন কীভাবে বাংলার উন্নয়ন হয়।

২০২৪ সালে ‘টেকনো ইন্ডিয়া’ ‘গুগল’ ও ‘আইবিএম’-এর সঙ্গে যৌথভাবে চালু করে ‘এআই’ এবং ‘এমএল’, ‘ডেটা সায়েন্স’, ‘ক্লাউড কম্পিউটিং’ ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ‘ইউজিসি’, ‘পিজি’ এবং ‘পিএইচডি প্রোগ্রাম’। ‘টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ’ এর শিক্ষার্থীরা বাংলার পক্ষ থেকে বিশ্বকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পথ দেখিয়েছে। ২৬ বছর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গে তৈরি করে টেকনো- জানান সত্যম Satyam Chowdhury)। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিল্পস্থাপনের সুযোগ অনেক সুগম হয়েছে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত উত্তর বঙ্গের ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টার আরও শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে গড়ে তুলবেন তাঁরা।
আরও খবর: আগামী ৫ বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে: হর্ষ নেওটিয়া

কিছুদিন আগেই লন্ডনে বাণিজ্য সম্মেলনের ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে 8 বারের চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি এফসি’র সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয় টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের৷ মউ স্বাক্ষরের পর ম্যান সিটি’র পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্লাবের জার্সি তুলে দেওয়া হয়৷ ম্যান সিটি এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ঐতিহাসিক সেই চুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে ছিলেন, “ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের আবেগের সম্পর্ক। আপনারা জানেন বাংলা কতটা ফুটবল ভালোবাসে। কতটা ক্রিকেট ভালোবাসে। বাংলার তিনটি ক্লাব ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান। আরও অনেক ক্লাব আছে৷ আমি সবার জন্য গর্বিত। আমি খুশি যে সত্যমরা এই চুক্তি করল।”

–

–

–
–

–
–

–

–

–

–
