Thursday, August 28, 2025

বঞ্চিত বাংলা, বেআইনিভাবে বাংলার ২২ হাজার কোটি টাকা পুরস্কার পেল বিজেপির তিন রাজ্য 

Date:

Share post:

তিন বছর কেটে গেল, তবু বাংলার প্রাপ্য একশো দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেনি। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্র সরকার এই বঞ্চনার পথে হেঁটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার বারবার দাবি তুললেও, ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে কেন্দ্রের তরফে কোনও অর্থ ছাড় করা হয়নি। এর জেরে রাজ্যের প্রাপ্য দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অথচ এই একই সময়কালে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য রেখে তামিলনাড়ুকে একাধিকবার বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। অভিযোগ উঠছে, এই তিন রাজ্যকে বিগত তিন বছরে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলার প্রাপ্য ছিল ৭,৫০৮ কোটি টাকা। তা আটকে রেখে তামিলনাড়ুকে দেওয়া হয়েছে ৯,৭০৭ কোটি টাকা। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৩-২৪-এ এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৬০৩ কোটি টাকায়। একইভাবে, বিহার পেয়েছে ১০,২৬৯ কোটি এবং মহারাষ্ট্র ৪,৯০০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রের যুক্তি—বাংলা একশো দিনের প্রকল্পের নিয়ম মানেনি। কিন্তু রাজ্য সরকার বলছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রতিটি টাকার হিসেব কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, অভিযোগ উঠছে—যে রাজ্যগুলিকে অর্থ দেওয়া হচ্ছে, তারা শ্রমিকদের মজুরি না দিয়ে সেই টাকা খরচ করছে শিল্প-উন্নয়ন এবং যন্ত্রপাতি কেনার পেছনে। অথচ, কেন্দ্রীয় নিয়মে এর কোনও অনুমতি নেই।

রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ শ্রমিকরাও এই অবিচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ মঞ্জুর করতে হবে এবং সকলকে সমান আচরণ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—বাংলার বঞ্চনা কি শুধুই আর্থিক, না কি এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন উদাহরণ?

আরও পড়ুন – অভিষেক-সহ বিদেশ সফর ফেরত সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলে দিল্লিতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...