উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দীর্ঘ আট মাস পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল বিজেপি নেতা উমেশ মন্ডল ও তাঁর শ্যালক তথা বিজেপি কর্মী তাপস বর। বসিরহাট মহকুমার ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আদালতে পেশ করলে বিচারক তাদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ঘোষপুরের একটি পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় ১৩ বছরের নাবালিকা (minor) শরমা মুন্ডার মৃতদেহ। সে বিজেপি নেতা উমেশ মন্ডলের বাড়িতে পরিচালিকার কাজ করা সাগরিকা মুন্ডার মেয়ে। ঘটনার দিন, ৪ ডিসেম্বর, গরু ছাগল চরাতে মাঠে গিয়েই নিখোঁজ হয় সে। নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর, অবশেষে উমেশের বাড়ির পাশের পুকুরে তার মরদেহ মেলে।

এই ঘটনায় শুরু থেকেই ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য জুড়ে ন্যায্য বিচার ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষ। বিজেপির নেতৃত্বে একাধিক বিক্ষোভও হয়। মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, রক্ষকের বাড়িতেই এই বর্বরতা ঘটে। মৃতা নাবালিকা (minor) ওই বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আরও কেউ এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে বসিরহাটের বিজেপি শিবির। কারণ, ধর্ষণ ও খুনের মত ঘটনায় দলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ায় দলের ভাবমূর্তিতে আঁচ লেগেছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার ডঃ মেহেদি রহমান হোসেন জানান, “নাবালিকা খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশি হেফাজতে রেখে তদন্ত চলছে। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।” আরও পড়ুন : ISI যোগ বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীর! পাক গুপ্তচর সন্দেহে STF-এর জালে ২

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–