ভারতে হিন্দুদের দ্বারা যে ধর্মীয় নিপীড়ন চলছে, তা গোটা বিশ্বের কাছে আতঙ্কের কারণ। ভারতের মতো সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশকে এভাবেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) মঞ্চে পেশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। এমনকি ভারতের এই আচরণকে বিশ্বের মঞ্চ থেকে প্রতিহত করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা পাকিস্তানের (Pakistan) এই ধরনের বিদেশনীতি সন্ত্রাসবাদকে (terrorism) পিছন থেকে মদত দিতেই, এমনটাই দাবি করা হয় ভারতের তরফ থেকে।

এশিয়ার অন্যতম দুই শক্তিধর দেশ যে পরস্পরের প্রতি কতটা ঘৃণা ও কূটনীতি লুকিয়ে রেখেছে, তা এবার প্রকাশ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে। পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিজেদের সদস্যতা প্রমাণে বক্তব্য পেশের অধিকার পায়। সেখানেই কাশ্মীরের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন শাহবাজ শরিফ। দাবি করা হয়, ভারতে কাশ্মীরের মানুষ যেভাবে নিপীড়ত, তাতে পাকিস্তানই তাঁদের পাশে থাকতে পারে।

এই দাবি পেশ করতে গিয়েই ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অত্যাচারের নিন্দা করেন শাহবাজ। তিনি দাবি করেন, কোনও ব্যক্তি, কোনও ধর্মের প্রতি ‘হেট স্পিচ’, ভেদাভেদ বা হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসার দ্বারা পরিচালিত নীতি, যেমন ভারতের হিন্দুত্বের (Hindutva) নীতি, গোটা বিশ্বের উপর প্রবল বিপদ বয়ে আনছে। সেখানে ইসলাম-ফোবিয়া (Islam phobia) বেড়ে ওঠাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, যার ক্ষতিকারক দিকগুলিকে যথাযথভিবে প্রতিরোধ করার দাবি পেশ করা কোনও অত্যুক্তি হবে না।

কার্যত ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বার্তা বিজেপির নেতা থেকে মন্ত্রীরা দিয়েছেন, তা যে বিশ্বমঞ্চে কারো অজানা নেই, তা তুলে ধরেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। যদিও পাকিস্তানের কারণে ভারতে যেভাবে সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসের শিকার, তা সম্পূর্ণ নিজের বক্তব্যে এড়িয়ে যান শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।

আরও পড়ুন: এবার ওষুধেও ১০০% শুল্ক ট্রাম্পের! বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা ভারতের

সেখানেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের পর্দাফাঁস করেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট (Petal Gehlot)। তিনি নিজের বিবৃতিতে তুলে ধরেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও নাগরিক বক্তৃতা সন্ত্রাসবাদের প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টিই তুলে ধরে। পাকিস্তানকে এই মুহূর্তে তাদের সব সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ভেঙে দিতে হবে এবং ভারতে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের (terrorist) ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই সঙ্গে দাবি করেন তিনি, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনায় দাবি করেছিল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হলে তা দুই দেশ মিলে সমাধান করবে। কোনও তৃতীয় পক্ষ সেই সমাধানের মাঝে ঢুকবে না।

–

–

–

–