দিব্যি নাম ছিল ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইনিউমারেশন ফর্মও ফিলাপ করেছেন। অথচ তারপরেই আপনি পড়ে গিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সন্দেহভাজনক ভোটারের তালিকায় (voter list)। ঠিক যেভাবে নোটবন্দী নিয়ে কেন্দ্র সরকার হয়রান করেছিল সাধারণ মানুষকে, সেভাবেই আবার লাইনে দাঁড় করালো নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কিভাবে এত মানুষ হঠাৎ সন্দেহজনক হয়ে দাঁড়ালেন? তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আঙুল তুলছেন নির্বাচন কমিশনের ডিজি সীমা খান্নার (Seema Khanna) বিরুদ্ধে। সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে ভোটারদের নথি এদিক ওদিক করে সন্দেহভাজনক তৈরি করছেন এই আধিকারিক।

শনিবার এসআইআর-এর শুনানি (hearing) পর্ব শুরু হওয়ার পরে যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানেই তিনি সীমা খান্নার নাম স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। অভিষেকের দাবি ছিল, বিশেষ সফটওয়্যারের (software) মাধ্যমে বাংলার মানুষের তথ্যে বদল করে তাঁদের সন্দেহজনক করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আর এর পিছনে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ডিজি সীমা খান্না।

এই সীমা খান্না (Seema Khanna) নরেন্দ্র মোদীর আমলে ন্যাশানাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টারের (National Informatics Centre) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প যেমন আরোগ্যসেতু, সাইন অন বা ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক-এর মতো উদ্যোগে তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শকের ভূমিকায়। সেই সময় সরকার এবং নাগরিকদের মধ্যে যথোপযুক্ত যোগাযোগ তৈরি করা তাঁর কাজ ছিল। এবং তার জন্য তাঁকে দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যেও হাত দিতে হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্র, সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ইমেল, ই-অফিস, এসএমএস, ভিপিএন, ভিডিও কনফারেন্স-এর মত কাজ শুরু করার দায়িত্বে তিনি ছিলেন।
সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার প্রশ্ন তোলেন একটি বিশেষ সফটওয়্যার নিয়ে। তিনি দাবি করেছিলেন, আমার কাছে চ্যাটের স্ক্রিনশট (screenshot) রয়েছে। কোন সফট্অয়্যারের মাধ্যমে আপনি এক কোটি ৩৬ লক্ষ বাঙালিকে সন্দেহের তালিকায় ঢুকিয়ে দিলেন? কী ভাবে আপনি করতে পারেন?

আরও পড়ুন : নাম নিয়ে সন্দেহ হলেই দায়িত্ব পালন করুন: বিএলএ-দের নির্দেশ অভিষেকের

নির্বাচন কমিশন যেভাবে বাংলার মানুষকে হয়রানির মুখে ঠেলে ফেলেছে, তা ঠিক কোন কলকাঠিতে পরিচালিত হচ্ছে, ধরে ফেলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগেও ভোটার তালিকা কারচুপি প্রথম প্রকাশ করেছিল বাংলার শাসক দল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব যাবতীয় তথ্য সিইসি জ্ঞানেশ কুমারের সামনে তুলে ধরবেন। আর সেখানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সীমা খান্না একার দায়িত্বে এই ধরনের কারচুপি চালাচ্ছেন, নাকি তাঁর পিছনেও রয়েছে কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদেরই নির্দেশ।

–

–

–

–


