শুধু মুসলিম নয়, একাধিক কেন্দ্রে হিন্দু প্রার্থীও দিতে পারে আব্বাসের দল

ফুরফুরা শরীফ থেকে আব্বাস সিদ্দিকি যখন অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ দিতেন তখন অনেকেই দাবি করত তিনি একজন কট্টর মৌলবাদী নেতা। সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় নতুন দল গড়ে ময়দানে নেমেছেন এই আব্বাস সিদ্দিকি(Abbas Siddiqui)। দলের নাম ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট'(ISF)। অর্থাৎ দলের মধ্যেই রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ধর্মনিরপেক্ষতাই দলের মূল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন আইএসএফের প্রধান। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে ময়দানের লড়া এহেন আইএসএফের দলের এবার সবচেয়ে বড় চমক হতে চলেছে হিন্দু প্রার্থী।

গত শনিবার বৈদ্যবাটিতে সিপিএমের পার্টি অফিসে মহম্মদ সেলিম, আব্দুল মান্নানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নৌসাদ। সেখানে আসন সমঝোতায় আইএসএফের তরফে এমন কিছু আসনের দাবি রাখা হয়েছে যেখানে হিন্দু প্রার্থীও দিতে চায় তারা। অর্থাৎ মুসলিম প্রার্থী পাশাপাশি তপশিলি জাতি, উপজাতি সংরক্ষিত কেন্দ্রগুলিতে হিন্দু প্রার্থী দিতে ইচ্ছুক আব্বাসের দল। ফলস্বরূপ আইএসএফের এহেন সিদ্ধান্তে নতুন করে রাজনীতি অংক প্রশ্ন শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শুরুতে অনুমান করা হচ্ছিল মুসলিম অধ্যুষিত যে সমস্ত জায়গায় আইএসএফ প্রার্থী দেবে সেখানে তৃণমূলের জন্য বিপদ বাড়তে পারে। তবে তপশিলি জাতি উপজাতি সংরক্ষিত এলাকায় আব্বাস যদি হিন্দু প্রার্থী দেয় তাহলে রাজনীতির সমীকরণ কী হবে নিশ্চিত ভাবে তা চিন্তার। এক্ষেত্রে শাসকদলের ভোটে ভাগ পড়বে নাকি বিরোধীদের, তা নিয়ে শুরু হয়েছে অংক কষা।

আরও পড়ুন:তৃণমূলে যোগ দেওয়া হুমায়ুন কবীর কি ডেবরা কেন্দ্রের প্রার্থী? বাড়ছে জল্পনা

রাজনৈতিক মহলের দাবি, তৃণমূলের ভোট কুশলী হিসেবে মাঠে নামার পর সংরক্ষিত আসন গুলির দিকে বাড়তি নজর রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। সেখানে যদি আব্বাস সিদ্দিকী হিন্দু প্রার্থী দেন তাতে বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে শাসকদলের। যদিও একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের দাবি, এই সমস্ত রাজনৈতিক দল এখন শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছে বাস্তবে ‘মাঠের লড়াইয়ে’ তাদের অস্তিত্ব একেবারেই নেই। তবে নতুন হলেও আব্বাস সিদ্দিকির যা ক্যারিশমা তাতে তার দলকে কখনোই বাদের তালিকায় রাখা যায় না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Advt

Previous articleজয় দিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির অভিযান শুরু বাংলার
Next articleসোশ্যাল মিডিয়া সরকার ফেলে দিতে পারে! কড়া আইনের সওয়াল বিজেপির