সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি আদায় করলেন ইয়েচুরি

কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি নিজে। প্রশাসন ঢুকতে দেয়নি, ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেখানেই থেমে না গিয়ে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
বুধবার ইয়েচুরিকে কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি দিল দেশের শীর্ষ আদালত ।

একই আর্জি জানিয়ে আলাদাভাবে আবেদন করেছিলেন কাশ্মীরের এক আইনের ছাত্র, মহম্মদ আলিম সইদ। তিনি মা, বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য যেতে চেয়েছিলেন কাশ্মীরে। যাতে স্থানীয় প্রশাসন বাধা দিতে না পারে, সে জন্য তিনিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত তাঁকেও অনুমতি দিয়েছে। তাঁদের দু’জনের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন-আজকের আঠাশ, আগামীর ইতিহাস: বিধানসভা নির্বাচনে 250টি আসন জিতবে তৃণমূল, দাবি অভিষেকের

ইয়েচুরি, তাঁরই এক দলীয় সহকর্মী মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্রীনগরে যেতে চেয়েছিলেন। সংবিধানের 370 ধারা বাতিলের পর একবার তাঁকে শ্রীনগর থেকে ফিরিয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। তার পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। এবং যাওয়ার অনুমতি আদায় করে নিলেন।

দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বুধবার এই দুই আর্জির শুনানিতে বলেছেন, “আপনাদের দু’জনকেই কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল। আইনের যে ছাত্রটি আবেদন করেছিলেন তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে যেতে পারবেন। মা, বাবার সঙ্গে দেখা করতে অনন্তনাগেও যেতে পারবেন। ফিরে এসে হলফনামাও জমা দিতে পারবেন। ওই ছাত্রের নিরাপত্তার সব রকম ব্যবস্থা করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।’’

ইয়েচুরিকে কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে বিচারপতি গগৈ বলেছেন, ‘‘আমরা আপনাকে দেখা করার অনুমতি দেব। আপনি কেবল আপনার বন্ধুর সঙ্গেই দেখা করতে যাচ্ছেন তো? এই দেশের এক নাগরিক তাঁর বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে চায়। এতে অসুবিধা কোথায়?”
ইয়েচুরির সফরে আপত্তি জানাতে গিয়ে কেন্দ্রের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, সিপিএম নেতার সফরের ফলে কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেহাল হয়ে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন-আমাজন অগ্নিকাণ্ড: জি-7 গোষ্ঠীর অর্থ সাহায্য নিতে অস্বীকার ব্রাজিলের

 

Previous article7 দিন নিখোঁজ মা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের
Next articleপাকিস্তানের কড়া সমালোচনায় কংগ্রেস