বিদেশি রেস্তোরাঁয় আশার তৈরি পদ পরিবেশিত হয়! জন্মদিনে জানুন কিংবদন্তি গায়িকার অজানা তথ্য

আজ, 8 সেপ্টেম্বর। বলিউড তথা হিন্দি চলচ্চিত্রের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী আশা ভোঁসলের জন্মদিন। 1933 সালের এই দিনে মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বলিউডের অন্যতম এই গায়িকার গানের ক্যারিয়ার প্রায় 6 দশক জুড়ে বিস্তৃত। এ যাবৎ 950 টিরও বেশি ছবিতে কন্ঠ দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন 12 হাজারেরও বেশি গান। 1970-এর দশকে প্রয়াত আর ডি বর্মনের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি ।

জন্মদিনে সেই কিংবদন্তি আশা ভোঁসলে সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য দেখে নেওয়া যাক। যা হয়তো অনেকেই জানেন না।

1) মাত্র 10 বছর বয়সে প্রথম গান করেন আশা ভোঁসলে, বোন লতা মঙ্গেশকারের সঙ্গে। মারাঠি চলচ্চিত্র ‘কিতি হাসাল’-এর জন্য শিশুদের সম্মিলিত ওই সঙ্গীতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সাল 1942।

2) যৌবনে একদিনে 7টি গান রেকর্ড করার সাফল্যও রয়েছে আশার ঝুলিতে। 1997 সালে কল্পনা লাজমীর ‘দরমিয়া’ ছবির জন্য টানা আট ঘন্টা সময় দিয়ে 7টি গান রেকর্ড করেন তিনি।

3) চলচ্চিত্রের বাইরে পুজার জন্য সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করেছেন ভোঁসলে-বর্মন জুটি।

4) আর ডি বর্মনের মতো আশাও ল্যাটিন মিউজিক ভালোবাসেন।

5) তাঁর নিজের স্কেলে তিনি মারিয়া কালাস বা মোজার্টের গান অনায়াসে তুলতে পারেন।

6) মন খারাপ থাকলে আশা ভোঁসলে রান্নাঘরের দরকারি বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতে বাজারে চলে যান। সব ধরনের গার্হস্থ্য জিনিসপত্র কেনেন। এতে নাকি তাঁর মন ভালো হয়ে যায়।

7) বলিউডের বিখ্যাত মেক-আপ আর্টিষ্ট মিকি কন্ট্রাক্টরের অভিভাবকত্বে তিনি মেক-আপ বিষয়ক দীক্ষা নেন। তাঁর প্রিয় সুগন্ধি কোল।

8) মাঝে মধ্যে জিমে যান আশা। ডায়াফ্রামকে শক্তিশালী রাখার জন্য নিজের মতো করে কিছু অ্যারোবিকস চর্চা করেন তিনি। দমের জন্য ডায়াফ্রামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

9) ঘরের ইন্টেরিয়রের ক্ষেত্রে তিনি পশ্চিমা ধারার অনুসারী। তাঁর বেডরুমে রাণী অ্যানের স্টাইলের ফার্নিচার রয়েছে।

10) আশা ভোঁশলের প্রিয় খেলোয়ার পেলে।

11) মাইকেল জ্যাকসনের ভক্ত এই শিল্পী।

12) আশার চুল মোটা এবং স্বাভাবিকভাবেই কালো। এটা তিনি তাঁর মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন। তার মা মাই মঙ্গেশকার 89 বছর বয়সে যখন মারা যান, তখন কেবল তাঁর চুলে পাকতে শুরু করেছিলো।

13) দারুন চিঠি লেখেন আশা। ইদানীং এসএমএসে আসক্ত।

14) আত্মজীবনী লেখা শুরু করেছেন। এখানে তিনি কোনও লুকোছাপা করবেন না বলে জানিয়েছেন আগেই।

15) ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ভাষায় গান করেছেন তিনিই। ভারতের সবকটি ভাষায় তো গেয়েছেন, এছাড়াও রাশান, চেক, নেপালি, ইংরেজি ও মালয়ী ভাষাতেও গান রয়েছে তাঁর।

16) আশার রান্নার হাত চমৎকার। এক্ষেত্রে তার সুনাম সর্বজনবিদিত। সেতারবাদক ওস্তাদ রইস খান ও মাজরুহ সুলতানপুরীর স্ত্রীর কাছে রান্না শিখেছেন তিনি।

18) দুবাই, আবুধাবি ও বার্মিংহামে ভোঁসলের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এসব রেস্টুরেন্টে তাঁর নিজের তৈরি 22 টি রেসিপি দিয়ে রান্না পরিবেশিত হয়।

19) আশা ভোঁসলে ওস্তাদ আলি আকবরের সঙ্গে তাঁর ক্ল্যাসিকাল অ্যালবাম ‘লিগেসি’র জন্য প্রথম ভারতীয় হিসেবে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়ন পান 1997 সালে।

Previous articleবাবার সৎকারে গিয়েই শপথ, ‘বিরাট’ হয়ে ওঠার কাহিনি কোহলির
Next articleছুটির দিনে বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো অফিস পাড়া! তারপর যা ঘটলো