জমজমাট প্রাক শারদীয়া তাঁতের হাট

পুজো আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তাই সকলেই এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর বাঙালি মানেই পুজোর সাজে মেয়েদের শাড়ি মাস্ট। সারা বছর শাড়ি পড়া হোক বা না হোক, অষ্টমীর অঞ্জলিতে বা নবমীর রাতে শাড়ি না পড়লে যেন পুজোর সাজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘বাংলার তাঁতের হাট 2019’ এনেছে বিভিন্ন শাড়ির পসরা। যা না দেখলে বা না কিনলে আপনার পুজোর সাজ কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকেই যাবে।

করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে বসেছে ‘বাংলার তাঁতের হাট’। যেখানে ফুলিয়া থেকে শুরু করে জামদানি, আবার হ্যান্ডলুম থেকে তসর সিল্ক সবকিছুর বিপুল সম্ভার রয়েছে এই মেলায়। বসেছে অসংখ্য স্টল। নদিয়ার ফুলিয়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, শান্তিপুর থেকে সকলে এসেছেন তাদের শাড়ির সম্ভার নিয়ে। আছে হাতের কাজে তৈরি কাথাস্টিচ, বালুচরী সহ আরও অনেক শাড়ি। রয়েছে বুটিকের শাড়িও। সব মিলিয়ে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক মেলবন্ধনের ছবি ধরা পড়েছে এই বাংলার তাঁতের হাটে।

আরও পড়ুন – আপনার ‘পূজো’ আমাদের পুজো নয়

এই মেলায় ভিড়ও নেহাত কম চোখে পড়েনি। বেশিরভাগ স্টলেই মহিলাদের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। একজন বিক্রেতা তো বলেই দিলেন, ‘আমার এই নিয়ে তিনবার আসা হল। আরও একবার আসার ইছা আছে। পুজোর কেনাকাটা এখান থেকেই এবার করলাম। দারুণ সব কালেকশন রয়েছে এখানে। খুব ভাল লাগল।’

তবে এখানে শুধু শাড়ি পাবেন না। এর সঙ্গে পাবেন মানানসই গয়না। তবে এ গয়না সোনা বা রূপোর নয়। এ গয়না মাটির, টেরাকোটার। আবার অনেকে নারকেলের মালা থেকে বা সুপারি দিয়েও অভাবনীয় শৈল্পিক কায়দায় গয়না নিজে হাতে তৈরি করে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন।

শাড়ি হোক বা গয়না সবই পাবেন সাধ্যমত দামে। প্রসঙ্গত, এই মেলা চলবে আগামী 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিনব উদ্যোগ তাঁত শিল্পকে এভাবেই ঘরে ঘরে আরও বেশি করে পৌঁছে দিচ্ছে। তাই যে কারোর পুজোর ‘শপিং ডেস্টিনেশন’ হতেই পারে এই ‘বাংলার তাঁতের হাট 2019’, তা বলাই যায়।

  ছবি – প্রকাশ পাইন

আরও পড়ুন – আদালতে এক অন্য ‘চায়েওয়ালা’

Previous articleবাইপাসে আলাদা ‘সাইকেল-লেন’-এর দাবিতে সাইকেল-যাত্রার ডাক
Next article‘স্বপ্নের উড়ান’ এ চড়তে অবশ্যই আসতে হবে দর্জি পাড়ায়