পানিহাটি পুরসভায় হামলা, তুলকালাম কাণ্ড

পানিহাটি পুরসভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এমনকি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার, সেক্রেটারি ও ইঞ্জিনিয়ারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই তিন আধিকারিক কোনওমতে পুরসভার পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে লোকসংস্কৃতি ভবনের বাথরুমে লুকিয়ে রক্ষা পান। পরে সেখানকার কর্মীদের সহায়তায় দ্রুত পালিয়ে বাঁচেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে নবান্নে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বারাকপুরের মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, এই সংক্রান্ত অভিযোগ শুনেছি। পুরসভার নির্বাহী আধিকারিকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর জয়ন্ত দাস ওরফে গোবিন্দ দলবল নিয়ে পুরসভার সামনে হাজির হন। এরপর আচমকা অ্যাম্বুলেন্স বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। এরপর দোতলায় উঠে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ও সেক্রেটারিকে গালাগালি করতে করতে তাড়া করেন বলে অভিযোগ। দুই আধিকারিক কোনওমতে পুরসভার পেছন গেট দিয়ে বেরিয়ে লোকসংস্কৃতি ভবনের ভিতরে বাথরুমে ঢুকে পড়েন। তাঁদের না পেয়ে অভিযুক্তরা পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারকেও মারতে যায় বলে অভিযোগ। তিনিও সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে পালান। তিন আধিকারিকের খোঁজে হামলাকারীরা তিন তলায় উঠে এক মহিলা কর্মীকেও হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তিন আধিকারিক পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে বুঝতে পেরে তারা লোকসংস্কৃতি ভবনে যায়। সেখানে খানাতল্লাশি চালিয়েও আধিকারিকদের কোনও খোঁজ না পেয়ে এক ইলেকট্রিশিয়ানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-হিন্দি নয়: অমিতের সাফাইয়েও বিতর্ক থামছে না

 

Previous articleপুজোয় VIP কার্ডের বদলে এবার ইনভাইটি কার্ড
Next articleরাজীব স্যরের Distance Education