Voter ID card-এর কিভাবে Digital Verification করবেন?

নির্বাচন কমিশন 1লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া চলবে 15ই অক্টোবর,2019পর্যন্ত। এই কাজটি যে কেউ করতে পারবেন বাড়িতে বসে নিজের স্মার্টফোন থেকে। এর জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে শুধু একটি মোবাইল অ্যাপ। যে অ্যাপটি ‘Voter help line’ নামে ভারতীয় ইলেকশন কমিশন ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে রেখেছে। অ্যাপটি ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন সেটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা প্রদত্ত কিনা। অন্য কোনও সংস্থার দ্বারা আপলোড হয়ে থাকলে সেটি ডাউনলোড করবেন না। কারণ তাতে আপনি প্রতারণার সম্মুখীন হতে পারেন। আর যদি কারওর এই অ্যাপটি আগে থেকেই ডাউনলোড করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপডেট করে নিন।

অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে যাওয়ার পর আপনি সেটি খুললে শর্ত চাওয়া হবে যেটিতে টিক দিয়ে ‘I Agree’-তে ক্লিক করলেই পরবর্তী পর্যায়ে আপনি পৌঁছে যাবেন। সেখানে ‘EVP’ নামে একটি ট্যাব রয়েছে, এই ট্যাব এ ক্লিক করলে আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায় ‘ELECTORAL VERIFICATION PROGRAM’-এ। তারপর সেখানে যা যা ‘ALLOW’ করতে বলবে আপনি তা করে সম্মতি দিবেন।

তারপরেই আলাদা একটি স্ক্রীন আসবে যেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার চাওয়া হবে। আপনাকে অবশ্যই সক্রিয় একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যেটি আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সংযুক্ত করতে চান। তারপর ‘SEND OTP’ অপশনে ক্লীক করলেই আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। যেটি নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে লগইন করতে হবে। এর পরবর্তী ধাপে পাবেন এপিক নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার তথ্য খোঁজার জায়গা। এখানে আপনি আপনার এপিক নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার তথ্য খুঁজুন।

নিজের ভোটার তথ্য খুঁজে পেলে আপনি দেখতে পাবেন ‘its me’ বলে একটা অপশন রয়েছে, এখানে ক্লিক করুন। এরপরেই আপনাকে যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আপনি ভেরিফিকেশন করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি আপনার এপিক নাম্বারের সাথে সংযুক্ত করতে চান কি না তার জন্য ‘YES’ অথবা ‘NO’ অপশন থাকবে। ‘YES’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার এপিক নাম্বারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপর ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করলেই আবার আপনি আপনার ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি আপনার নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ, ছবি প্রায় সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার এগুলি পরিবর্তন করার পর ‘MODIFY’ অপশনে ক্লিক করে সাপোর্টেড ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এখানে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টের ছবি তুলে আপলোড করার সুযোগ পাবেন। ছবি আপলোড করার পর জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ঠিকানা নিজে থেকেই সংগ্রহ করবে ইলেকশন কমিশন দপ্তর।

এরপর ঠিকানা সঠিক প্রমাণ করার জন্য আপনাকে একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য আপনি অপশন পাবেন ‘TYPE OF DOCUMENT’, সেখানে ক্লিক করে আপনি যে ধরনের ডকুমেন্ট আপলোড করতে চাইছেন সেটি বেছে নিয়ে ডকুমেন্ট আপডেট করার অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ঠিকানা স্বপক্ষে যে ডকুমেন্ট দিতে চাইছেন সেটি আপলোড করে দিন, সঠিক হলে ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

আপনার নিজের এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হওয়ার পর দুটি অপশন পাবেন, ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ এবং ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’. ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যদি পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে না চান তাহলে ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’ এ ক্লিক করুন।

এরপর আপনি পাবেন তিনটি অপশন ‘ADD FAMILY MEMBER’, ‘VIEW MY FAMILY TREE’, ‘FINALIZE MY TREE’. এখানে আপনাকে ADD FAMILY MEMBER’-এ ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি আপনার নিজের ক্ষেত্রে যেভাবে এপিক নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করেছিলেন ঠিক তেমনভাবেই আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে আপনি পরিবারের যে সদস্যের ভোটার ভেরিফিকেশন করছেন তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক এবং তিনি কি আপনার সাথে থাকেন, না আলাদা থাকেন, সেটিও আপনাকে দেবেন জানাতে হবে।

এছাড়া এখানে আপনি পাবেন নতুন ভোটার যোগ করার অপশন পারবেন, যদি তার বয়স 2019 সালের পয়লা জানুয়ারি 18 বছর হয়ে থাকে । নতুন ভোটার সংযোজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনাকে তৈরি রাখতে হবে এবং সেগুলিকে যথাযথ জায়গায় ওই অ্যাপের মাধ্যমেই আপলোড করতে হবে। এরপর আপনি ‘DOWNLOAD MY CERTIFICATE’ বলে অপশনে ক্লিক করে করে CERTIFICATE ডাউনলোড করতে পারবেন।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleকাছেপিঠেই আছেন রাজীব, আবেদনে তাঁরই সই