ইমরানের গায়ের চামড়াটা একটু বেশি মাত্রায় পুরু

প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কেন এতটা আক্রমণাত্মক? কেন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি পর্যন্ত দিয়ে ছাড়লেন ভারতকে। উত্তর খুঁজতে খুব একটা বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের সব সরকারেরই অস্তিত্ব টিকে রয়েছে সেনাবাহিনীর উপর। সেনার হাতেই চাবিকাঠি। নইলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল না হয়েও ইমরানের পক্ষে পাক মসনদে বসার সম্ভাবনাই ছিল না। পৃথক পাকিস্তান (পূর্ব পাকিস্তান হাত ছাড়া হওয়ার পর) হওয়ার পর থেকেই পাক প্রধানমন্ত্রীদের টার্গেট ভারত। অপমানের বদলা নিতে ক্রমান্বয়ে ভারতকে খোঁচা মেরে যাওয়ার নীতি শুরু। এক্ষেত্রে কাশ্মীর হল পাকিস্তানের এক এবং অদ্বিতীয়ম লক্ষ্য। শান্ত উপত্যকাকে অশান্ত করতে জঙ্গি বাহিনীকে লালন করা শুরু। পৃথিবীর শক্তিশালী সব দেশই জানে পাকিস্তানের মাটিতেই জঙ্গিরা নিরাপদে মানুষ খুনের প্লট বানাচ্ছে। বিরোধিতা এড়াতে কখনও আমেরিকার থেকে অস্ত্র কেনা চিনকে রাস্তা তৈরির অনুমতি, রাশিয়ার থেকে যুদ্ধ বিমান কিনে সরাসরি বিরোধিতা এড়িয়েছে। ভারতের কোনও অঙ্গরাজ্যে কোন ধারা তুলে নেওয়া হবে, সে নিয়ে পাকিস্তন বলার কে? অথচ পাক সরকার গলা ফাটিয়ে যাচ্ছে। তার মূল কারন, কাশ্মীর জুজু দেখিয়েই তো জঙ্গিদের রিচার্জ করে পাক সেনা ও সরকার। সেই পথটা ক্রমশ বন্ধ হচ্ছে বুঝে যেতেই তেলে-বেগুনে জ্বলা শুরু পাকিস্তানের। ইমরান এখানে ‘কাঠপুতলি’ ছাড়া আর কিছুই নয়। সেনার কথাই বলছেন তিনি। আর পাক সেনা যে কতটা ব্যাকফুটে, তা ইমরানের মুখের ভাষা, ভারতের নিজস্ব বিষয় নিয়ে কথা বলার সাহস দেখনো, গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে কথা বলার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন – মুকুল গড়ে ভাঙন, পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরলেন 100 কর্মী

ভারতের প্রাক্তন সেনা অফিসাররা বলছেন, ইমরানের মনে হয় ভারত-পাক যুদ্ধের পর পরাজিত পাক জেনারেল নিয়াজির কথা মনে নেই। হারের পর নতজানু নিয়াজিকে ভারত মুক্তি দিলেও পাকিস্তান তাকে জেনারেল থেকে সাধারন সেনা অফিসারে নামিয়ে আনে। তার মৃত্যুর কথাও কেউ জানতে পারে না। ইমরান সে দিনের ইতিহাস একবার পড়ে নিন। আর এক অফিসার বলেছেন, পাকিস্তান বেশি বাড়াবাড়ি করলে ৩০ ঘন্টায় কথা বন্ধ করে দিতে পারে ভারত। সৌজন্যকে পাকিস্তান দুর্বলতা ভাবছে।

কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ী পাক প্রধানমন্ত্রীকে যারা একটু অন্যরকম ভাবছিলেন, তারা বুঝেছেন, ইমরানের বাইরের খোলসটাও আগের শাসকদের চেয়ে একটু বেশি পুরু।

আরও পড়ুন – সিবিআই বিপদে ফেললে বিজেপি ছাড়বেন মুকুল?

Previous articleএসএফআইয়ের এক অন্যরকম সম্মেলন
Next articleসকাল থেকেই টালা ব্রিজে বাস বন্ধ, যাচ্ছে বিকল্প পথে ধরে