বিরাটদের টেস্ট জয় শুধুই সময়ের অপেক্ষা

প্রায় এক বছর পর দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আর ফিরে এসেই একাই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলের শিরদাঁড়া। একা হাতে তুলে নিয়েছেন সাতটি উইকেট। শুক্রবার নিয়েছিলেন পাঁচটি উইকেট আর আজ, শনিবার নিয়েছেন আরও দুটি। সব মিলিয়ে প্রোটিয়া বধ করে দুরন্ত কামব্যাক করেছেন এই দক্ষিণী স্পিনার। তাঁর স্পিনাস্ত্রেই মূলত ৪৩১ রানে থেমে গিয়েছে ডুপ্লেসিদের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ভারত রান তোলে ৭ উইকেটে ৫০২। ময়াঙ্ক আগরওয়ালের ২১৫ এবং রোহিত শর্মার ১৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে কোহলি ব্রিগেড। জবাবে প্রোটিয়ারাও দমে যায়নি। বিশাখাপত্তনমের পাটা পিচে মহম্মদ শামিদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়েন ডিন এলগর ও কুইনটন ডি কক। অশ্বিন এবং জাডেজার ঝোড়ো বোলিংয়ে মাটি কামড়ে থাকেন তাঁরা। দলকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিতে ডি এলগর করেন ১৬০ রান। আর ডি-কক যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ১১১ রান করেন। তাঁদের এই কঠিন লড়াইয়ে অনুঘটকের কাজ করে অধিনায়ক ডুপ্লেসিসের ৫৫ রান।

এরপর ইনিংস খেলতে নামে ভারত। তবে প্রথম ইনিংসে কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দাগ কাটতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে একইভাবে অপ্রতিরোধ্য রোহিত শর্মা। শনিবাসরীয় বিশাখাপত্তনামে তাঁর সংগ্রহ ১২৭। চেতেশ্বর পূজারা তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন। তিনি করেন ৮১। তবে দুটি ইনিংসে খিব একটা নজর কারতে পারেননি ক্যাপ্টেন কোহলি। অবশেষে ৩২৩ রান করে ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে ভারত।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর, ১ উইকেট হারিয়ে ১১। তাই ভারতের প্রথম টেস্ট জেতা সময়ের অপেক্ষা, তা বলাই যায়।

Previous articleনবমী অথবা দশমীতে কলকাতায় আসছেন নারদ কর্তা ম্যাথু, যাবেন সিবিআই দফতরে
Next articleজেলেই অসুস্থ চিদম্বরম, AIIMS ভর্তি নেয়নি