জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত না হলে নবান্ন অভিযানের হুমকি দিলীপের

পুজোর আনন্দের দিনগুলোতে যে পরিবারগুলো শেষ হয়ে গেল, যে পরিবারগুলিতে অন্ধকার নেমে এসেছে, যে মায়ের কোল খালি হয়েছে, তার দায় এই স্বৈরাচারী রাজ্য সরকারের। এদিন এমনই দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যের এক মন্ত্রী বলছেন, রাজ্যপাল নাকি রাজনীতি করছেন। আমি বলি, রাজ্যপাল মুক ও বধির হয়ে যাবে ভেবেছেন। দায়িত্বে থেকে কাজ করবেন না। কথা বলবেন না?”

তিনি আরও বলেন, “পুজোর সময় আমার ভেবেছিলাম, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করব না। কিন্তু বাধ্য হলাম। যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চলছে, আর চুপ থাকা যায় না। গোটা এলাকায় ভয়ের পরিবেশ। আমি ছিলাম ওখানে। কেউ কোনও কথা বলতে পারছেন না।”

আরও পড়ুন – বিজেপির ধর্ণা মঞ্চ থেকে বুদ্ধিজীবীদের তুলধোনা

এরপরই রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, “রিজওয়ানুরকে নিয়ে রাজনীতি কেউ ভুলে যায়নি। মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে, আমরা কিছু বলতে পারবো না? রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মানুষের জীবন বিপন্ন। আমরা আন্দোলন করব। আমরা অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করব না। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, একমাসের মধ্যে নবান্ন অভিযান করব। লালবাজার ঘেরাও করব। মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। মানুষের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।”

এখানেই থেমে থাকেনি দিলীপ ঘোষ। সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “এই স্বৈরাচারী সরকারকে গঙ্গার জলে ফেলে না দেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। পুলিশ এখন দলদাস। সকাল থেকে তৃণমূল নেতাদের কথায় চলে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের কোমর ভেঙে গিয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকের নামে প্রকাশ্যে পুলিশের বড় কর্তাদের সকলের সামনে চমকাচ্ছে, ধমকাচ্ছে। তাই এদের দেখে ছিঁচকে চোরও ভয় পায় না।”

বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধি বিদ্যা বিসর্জন দিয়েছে। পাজামা-পাঞ্জাবি পরা আর কাঁধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে হাঁটা বুদ্ধিজীবীদের চোখের জল কি শুকিয়ে গেছে?”

আরও পড়ুন – জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সঠিক পথে হচ্ছে না, দাবি ভারতীর

Previous articleমা দুগ্গার টরন্টো ভ্রমণ
Next articleজিয়াগঞ্জ : দিলীপের তির, পাল্টা পার্থ বললেন সবটাই নাটক