আজ মোদি-শি বৈঠক, সৌহার্দ্যের আবহে তার আগে ডিনার টেবিলেই দীর্ঘ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার

নামেই ঘরোয়া বৈঠক। কূটনৈতিক প্রোটোকলের বাইরে বেরিয়ে খোলামেলা আলোচনার কথা বলা হলেও এর পিছনে আছে পরিকল্পনামাফিক দীর্ঘ প্রস্তুতি। যা অন্য যেকোনও হাইভোল্টেজ সামিটের মতই সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া আলাপচারিতার মোড়কে ভারত ও চিন দুদেশই নিজেদের সম্পর্কের শৈত্য কাটিয়ে বিবাদের বিষয়গুলিকে নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে চায়। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে আরও গতি আনতে চায়। আর এই উপমহাদেশের দুই বৃহৎ শক্তি কিছুটা কাছাকাছি আসার চেষ্টা করলে তা যে বিশ্ব কূটনীতির দিক থেকেও অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সেটা স্বাভাবিক।

আজ শনিবার তামিলনাড়ুর মমল্লাপুরমে নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং দীর্ঘ বৈঠকে বসবেন। তার আগে শুক্রবার রাতে ডিনার টেবিলেই দীর্ঘ কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। গভীর সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতার আবহে একান্তে মতবিনিময় করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও চিনের প্রেসিডেন্ট। জানা যাচ্ছে মূল বৈঠকের অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে সন্ত্রাস ও বাণিজ্য। এরপর চিন কাশ্মীর ইস্যু তুলবে কিনা এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হবে তা জানার জন্য আরও কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তবে দুই নেতার ডিনার-ডায়লগের পরই যেভাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বিবৃতি প্রকাশ করেছেন, তা থেকে স্পষ্ট যে সামিটের প্রথম দিনটি অত্যন্ত সদর্থকভাবে ও প্রত্যাশা জাগিয়ে কেটেছে। আর বৈঠকের মুখবন্ধ হিসাবে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিখুঁত মিশেলে মমল্লাপুরমের মত বিশ্ব হেরিটেজ কেন্দ্রে যে আন্তরিকতা আর সাংস্কৃতিক কূটনীতির প্রদর্শন দেখলেন শি জিনপিং, তাতে তিনিও মুগ্ধ।

 

Previous articleকার্নিভালের মঞ্চে বিক্রম, জল্পনা
Next article” রাজের দায়িত্ব নিও, আর পেটেরটা আমার কাছে থাকবে”, কেন লিখলেন বিউটি?